Jharkhand Leader: ৭ রাউন্ড গুলি চালিয়ে বুক ঝাঁঝরা করে দিল CPIM নেতার
জানা গিয়েছে, খুন হওয়া ওই সিপিএম নেতা স্থানীয়দের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় ছিলেন। হাতিয়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনেও লড়েছিলেন তিনি। মন্দার বিধানসভা থেকে উপনির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলেন।
রাঁচী: ঝাড়খণ্ডের রাজধানীতে খুন হলেন এক সিপিএম নেতা। নিহত বামনেতার নাম সুভাষ মুন্ডা। বুধবার সন্ধ্যায় বেশ কয়েক জন অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী তাঁর উপর গুলি চালায়। ৭ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে। বাইকে করে এসে দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়ে চলে যায় বলে জানা গিয়েছে। ঝাড়খণ্ড সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক প্রকাশ বিপ্লব জানিয়েছেন, রাঁচীর দলাদলি চৌক এলাকার পার্টি অফিসের সামনেই ওই সিপিএম নেতার উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার পর থেকেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ওই অঞ্চলে। স্থানীয়রা দোকানে ভাঙচুরও চালায় এবং রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।
জানা গিয়েছে, খুন হওয়া ওই সিপিএম নেতা স্থানীয়দের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় ছিলেন। হাতিয়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনেও লড়েছিলেন তিনি। মন্দার বিধানসভা থেকে উপনির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলেন।
রাঁচীতে সিপিএম নেতার খুনের ঘটনা নিয়ে ইনস্পেক্টর জেনারাল (অপারেশনস) অমল ভি হোমকার বলেছেন, “এক নেতাকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল। অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী ওই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনা নিয়ে স্থানীয়রা মধ্য রাত অবধি প্রতিবাদ করেছেন। এই ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।”
ঝাড়খণ্ড সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক প্রকাশ বিপ্লব জানিয়েছেন, ওই নেতা রাজ্য কমিটি সদস্য ছিল। বৃহস্পতিবার রাজ্য কমিটির বৈঠকে তাঁর উপস্থিত থাকারও কথা ছিল। যুবদের মধ্যে সুভাষের জনপ্রিয়তার কথাও জানিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে প্রকাশ বলেছেন, “আমি মানুষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, আপনারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিজেদের হাতে তুলে নেবেন না। অপরাধীদের ধরতে আমরা মুখ্যমন্ত্রী হেমস্ত সোরেনের কাছে আবেদন করেছি। দ্রুত বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের কথাও জানিয়েছি।” ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদে নেমেছে কংগ্রেসও। দোষীরা গ্রেফতার না হলে সড়ক অবরোধের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের তরফে।