
নয়া দিল্লি: নওগাম পুলিশ স্টেশনের বিস্ফোরণ নাশকতা নয়, দুর্ঘটনাবশতই এই বিস্ফোরণ হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হল এই কথা। আজ, শনিবার (১৫ নভেম্বর) জম্মু-কাশ্মীর ডিভিশনের যুগ্ম কমিশনার প্রশান্ত লোখান্ডে জানান, বিস্ফোরক ফরেন্সিক পরীক্ষায় নিয়ে যাওয়ার সময়ই দুর্ঘটনাবশত বিস্ফোরণ হয়।
শুক্রবার রাতে জম্মু-কাশ্মীরের নওগাম পুলিশ স্টেশনে বিস্ফোরণ হয়। পুলিশ স্টেশনের একাংশ বিস্ফোরণে উড়ে যায়। বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত প্রায় ৩০ জন। যেহেতু দিল্লিতে বিস্ফোরণ হওয়া বিস্ফোরক থেকেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে, তাই নাশকতার সন্দেহও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছিল না। অন্যদিকে, জইশ-ই-মহম্মদের ছায়া সংগঠন প্যাফ এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে।
তবে এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে নাশকতার উল্লেখ করা হয়নি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। এই ঘটনার পেছনে কোন জঙ্গি বা নাশকতামূলক কাজকর্ম রয়েছে কি না, সেই বিষয়টি নিয়ে এখনই কোনও উত্তর দেননি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তা। তিনি বলেন যে তদন্তে যা বেরিয়ে আসবে, তা প্রকাশ্যে আনা হবে।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ডিরেক্টর জেনারেল নলীন প্রভাতও জানান, নওগাম পুলিশ স্টেশনের মধ্যে যে জোরাল বিস্ফোরণ হয়েছিল, তা দুর্ঘটনাবশতই হয়েছে। উদ্ধার হওয়া অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের যখন নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছিল, সেই সময় বিস্ফোরণ হয়। একজন স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির আধিকারিক, ৩ জন এফএসএল, ২জন ফোটোগ্রাফার, ২ জন রেভেনিউ অফিসিয়াল ও একজন দর্জির মৃত্যু হয়েছে। ২৭ জন পুলিশ আধিকারিক ও ৩ জন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়েছেন বিস্ফোরণে।
গত ৯ নভেম্বর ফরিদাবাদ থেকে মুজাম্মিল শাকিল নামক এক চিকিৎসকের ভাড়া নেওয়া বাড়ি থেকে ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল। ফরিদাবাদ থেকে সেই বিস্ফোরক এনে নওগাম থানায় রাখা হয়েছিল যেহেতু সন্ত্রাসের এই ঘটনার প্রথম এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশই প্রথম তদন্ত শুরু করেছিল। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ডিরেক্টর জেনারেল নলীন প্রভাত এ দিন জানান, থানার একটি খোলা জায়গায় সুরক্ষিতভাবে রাখা ছিল ওই বিস্ফোরক। নিয়ম মাফিক ফরেন্সিক পরীক্ষা করার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছিল। তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ডিজিপি বলেন, “যাবতীয় সতর্কতা নেওয়া সত্ত্বেও গতকাল রাত ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ দুর্ঘটনাবশত বিস্ফোরণ হয়। অন্য কোনও সন্দেহ করার প্রয়োজন নেই।”