‘এ তো জেএনইউর লাভলেটার, তোলা তোলার মতো রুটিন’, কটাক্ষ দীপ্সিতার

সুমন মহাপাত্র |

Jun 15, 2021 | 12:05 PM

জেএনইউর চিফ প্রক্টর জানিয়েছেন, মহামারিকালে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় এতদিনে এই শো-কজ নোটিস দেওয়া হয়েছে।

Follow Us

কলকাতা: বাম ছাত্রনেত্রী তথা জওহরলাল নেহরু ছাত্র সংসদের (JNUSU) প্রেসিডেন্ট ঐশী ঘোষকে শো-কজ নোটিস পাঠিয়েছে জেএনইউ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। চিফ প্রক্টরের অফিস থেকে আসা ওই নোটিসে ঐশীর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের একটি মিটিংয়ে বিশৃঙ্খলা ও অসদাচরণের অভিযোগ রয়েছে। প্রক্টর অফিস জানিয়েছে, ছাত্রনেত্রী ঐশী ঘোষ (Aishe Ghosh) যদি ২১ জুনের মধ্যে শো-কজের উত্তর না দেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবে জেএনইউ কর্তৃপক্ষ।

জেএনইউর চিফ প্রক্টর জানিয়েছেন, মহামারিকালে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় এতদিনে এই শো-কজ নোটিস দেওয়া হয়েছে। যদিও ভিন্ন দাবি এসএফআই নেতৃত্বের। ঐশী বলেন, “এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের কাজ এটা নয়। ২০১৮-র ঘটনা ২০২১ কী করে উঠে এল? আমরা ২০১৮ সালে এই প্রসঙ্গের কারণও বিশ্ববিদ্যালয়কে জানিয়েছি।” প্রশাসনের এখন ডিজিটাল পড়াশোনা ক্ষেত্রে যাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন, তাঁদের পড়ানোর ব্যবস্থা করা উচিত। প্রশাসনের উচিত সব পড়ুয়ার টিকারণ করানো। কিন্তু জেএনইউ প্রশাসন পড়ুয়াদের ক্যাম্পাসের বাইরে রাখার চেষ্টা করছে বলে দাবি ছাত্রনেত্রী ঐশী ঘোষের।

তিনি জানান, বিগত কয়েকদিন ধরেই জলের সমস্যা সমাধানের জন্য জেএনএউ প্রশাসনে ও সেখানকার আম আদমি পার্টির বিধায়ককে মেল করেছিল ছাত্র ইউনিয়ন। কিন্তু কোনও সমস্যার সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। এসএফআই সর্বভারতীয় যুগ্ম সম্পাদক দীপ্সিতা ধরেরও একই বক্তব্য। শো-কজ নোটিসকে কটাক্ষ করে দীপ্সিতা বলেন, “এটা তো জেএনইউ-এর লাভলেটার। যে কোনও প্রতিবাদ করলেই জেএনইউ এই নোটিস পাঠাত।” তাঁর দাবি এইভাবে নোটিস পেয়ে কাড়িকাড়ি টাকা গুনেছে ছাত্র ইউনিয়ন। দীপ্সিতার অভিযোগ, জগদীশ কুমার উপাচার্য হয়ে আসার পর ‘তোলা তোলার মতো এটাকে রুটিন’ বানিয়ে নিয়েছেন তিনি।

কেন্দ্রের সরকার প্রশাসনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের দমিয়ে রাখতে এই ধরনের পদক্ষেপ করে বলে মত দীপ্সিতার। এসএফআই সর্বভারতীয় সভাপতি ভিপি সানুরও একই অভিযোগ। তিনি বলেন, ” ঐশী একজন জাতীয় নেত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভয় দেখানোর জন্য এরকম করে। তাঁকেও ভয় দেখানোর জন্য এই কাজ করেছে। ‘ জেএনইউ প্রশাসন পড়ুয়াদের প্রশ্নকে ভয় পায়’, তাই এই এই পদক্ষেপ করছে জেএনইউ প্রশাসন।

আরও পড়ুন: বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর অভিযোগে ঐশী ঘোষকে শো-কজ জেএনইইউ-র

কলকাতা: বাম ছাত্রনেত্রী তথা জওহরলাল নেহরু ছাত্র সংসদের (JNUSU) প্রেসিডেন্ট ঐশী ঘোষকে শো-কজ নোটিস পাঠিয়েছে জেএনইউ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। চিফ প্রক্টরের অফিস থেকে আসা ওই নোটিসে ঐশীর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের একটি মিটিংয়ে বিশৃঙ্খলা ও অসদাচরণের অভিযোগ রয়েছে। প্রক্টর অফিস জানিয়েছে, ছাত্রনেত্রী ঐশী ঘোষ (Aishe Ghosh) যদি ২১ জুনের মধ্যে শো-কজের উত্তর না দেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবে জেএনইউ কর্তৃপক্ষ।

জেএনইউর চিফ প্রক্টর জানিয়েছেন, মহামারিকালে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় এতদিনে এই শো-কজ নোটিস দেওয়া হয়েছে। যদিও ভিন্ন দাবি এসএফআই নেতৃত্বের। ঐশী বলেন, “এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের কাজ এটা নয়। ২০১৮-র ঘটনা ২০২১ কী করে উঠে এল? আমরা ২০১৮ সালে এই প্রসঙ্গের কারণও বিশ্ববিদ্যালয়কে জানিয়েছি।” প্রশাসনের এখন ডিজিটাল পড়াশোনা ক্ষেত্রে যাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন, তাঁদের পড়ানোর ব্যবস্থা করা উচিত। প্রশাসনের উচিত সব পড়ুয়ার টিকারণ করানো। কিন্তু জেএনইউ প্রশাসন পড়ুয়াদের ক্যাম্পাসের বাইরে রাখার চেষ্টা করছে বলে দাবি ছাত্রনেত্রী ঐশী ঘোষের।

তিনি জানান, বিগত কয়েকদিন ধরেই জলের সমস্যা সমাধানের জন্য জেএনএউ প্রশাসনে ও সেখানকার আম আদমি পার্টির বিধায়ককে মেল করেছিল ছাত্র ইউনিয়ন। কিন্তু কোনও সমস্যার সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। এসএফআই সর্বভারতীয় যুগ্ম সম্পাদক দীপ্সিতা ধরেরও একই বক্তব্য। শো-কজ নোটিসকে কটাক্ষ করে দীপ্সিতা বলেন, “এটা তো জেএনইউ-এর লাভলেটার। যে কোনও প্রতিবাদ করলেই জেএনইউ এই নোটিস পাঠাত।” তাঁর দাবি এইভাবে নোটিস পেয়ে কাড়িকাড়ি টাকা গুনেছে ছাত্র ইউনিয়ন। দীপ্সিতার অভিযোগ, জগদীশ কুমার উপাচার্য হয়ে আসার পর ‘তোলা তোলার মতো এটাকে রুটিন’ বানিয়ে নিয়েছেন তিনি।

কেন্দ্রের সরকার প্রশাসনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের দমিয়ে রাখতে এই ধরনের পদক্ষেপ করে বলে মত দীপ্সিতার। এসএফআই সর্বভারতীয় সভাপতি ভিপি সানুরও একই অভিযোগ। তিনি বলেন, ” ঐশী একজন জাতীয় নেত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভয় দেখানোর জন্য এরকম করে। তাঁকেও ভয় দেখানোর জন্য এই কাজ করেছে। ‘ জেএনইউ প্রশাসন পড়ুয়াদের প্রশ্নকে ভয় পায়’, তাই এই এই পদক্ষেপ করছে জেএনইউ প্রশাসন।

আরও পড়ুন: বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর অভিযোগে ঐশী ঘোষকে শো-কজ জেএনইইউ-র

Next Article