Joshimath: যোশীমঠের ৬৫ শতাংশ বাড়ি বিপদের মুখে, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট
Joshimath sinking: হিন্দুদের অন্যতম তীর্থস্থান, বদ্রীনাথের গেটওয়ে হল ৬,২০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত যোশীমঠ। চলতি বছর মেঘভাঙা বৃষ্টি, বন্যা, ভূমিধসে জর্জরিত এই শহর। পরপর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ খুঁজতে জিএসআই, এনডিএমএ-র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি সম্প্রতি আসরে নেমেছিল।
যোশীমঠ: ডুবছে যোশীমঠ! উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) চামোলি জেলার যোশীমঠ প্রায় সাড়ে ৩ ফুট বসে গিয়েছে বলে কেন্দ্রীয় সংস্থার রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে। এবার যোশীমঠের কতগুলি বাড়ি, ভবন বিপদের মুখে রয়েছে, তা স্পষ্টভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থার রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, যোশীমঠের ৬৫ শতাংশ বাড়িই বিপদের মুখে। এছাড়া সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে যোশীমঠের (Joshimath) আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও উল্লেখ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় রিপোর্টে।
চলতি বছর যোশীমঠে পরপর ভূমিধসের ঘটনার কারণ খুঁজতে তদন্তে নেমেছিল ১২টি কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থা (NDMA), সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্ট ইনস্টিটিউট, (CBRI), জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (GSI), ন্যাশনাল জিওপিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, সেন্ট্রাল গ্রাউন্ড ওয়াটার বোর্ড, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ রিমোট সেন্সিং, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হাইড্রোলজি, আইআইটি রুরকি-সহ আরও কয়েকটি সংস্থা। এই সকল সংস্থার যৌথ রিপোর্ট বিপর্যয় পরবর্তী মূল্যায়নে উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।
বিপর্যয় পরবর্তী মূল্যায়ন রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে যোশীমঠে প্রায় ৫৬০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধস-প্রবণ এলাকা ও বাড়িগুলির ৩০০-র বেশি পরিবারকে অন্যত্র সরানো হয়েছে। এছাড়া উত্তরাখণ্ড শহরে ১৪০০-র বেশি বাড়ির দিকে অবিলম্বে নজর দিতে হবে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে আরও স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, যোশীমঠের ২,৩৬৪টি বহুতলের মধ্যে ২,১৫২টি বাড়ি। এর মধ্যে ২৭টি বাড়ি আংশিকভাবে ভেঙে পড়েছে। ৪৪৫টি বাড়ির অনেকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত, ৬৫১টি বাড়ির ৭০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত এবং ২৭৯টি বাড়ির ৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত। মাত্র ৭৪৯টি বাড়ির কোনও ক্ষতি হয়নি। সঠিক নিয়ম না মেনে বাড়িগুলি তৈরি হওয়ার জন্যই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
হিন্দুদের অন্যতম তীর্থস্থান, বদ্রীনাথের গেটওয়ে হল ৬,২০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত যোশীমঠ। চলতি বছর মেঘভাঙা বৃষ্টি, বন্যা, ভূমিধসে জর্জরিত এই শহর। পরপর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ খুঁজতে জিএসআই, এনডিএমএ-র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি সম্প্রতি আসরে নেমেছিল। সেই রিপোর্টে যোশীমঠের ভয়াবহ পরিস্থিতির অবস্থা উঠে এসেছে।