Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বেসরকারি চাকরিতেও ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ সংরক্ষণ! বিতর্কের জেরে পিছু হটল সিদ্দারামাইয়া সরকার

Reservation Bill: দেশের তথ্য প্রযুক্তি বা আইটি রাজধানী হিসাবে পরিচিত বেঙ্গালুরু। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের যুবক-যুবতীরা চাকরি করতে যান। সেই শহর যে রাজ্যে অবস্থিত, সেখানেই বেসরকারি ক্ষেত্রেও কন্নড়দের জন্য ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ আসন সংরক্ষণের প্রস্তাব সামনে আসতেই তুমুল বিতর্ক শুরু হয়।

বেসরকারি চাকরিতেও ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ সংরক্ষণ! বিতর্কের জেরে পিছু হটল সিদ্দারামাইয়া সরকার
ফাইল চিত্রImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Updated on: Jul 18, 2024 | 7:14 AM

বেঙ্গালুরু: বেসরকারি চাকরিতেও সংরক্ষণ! চরম বিতর্কের মুখে পড়ে পিছু হটতে হল কর্নাটক সরকারকে। আপাতত স্থগিত রাখা হল বেসরকারি চাকরিতে ভূমিপুত্রদের সংরক্ষণ বিল। বিধানসভায় পেশ করার আগে সরকার এই বিল পর্যালোচনা করে দেখবে বলেই জানিয়েছে। কী এই সংরক্ষণ বিল? কেনই বা এত বিতর্ক এই বিল নিয়ে?

সোমবারই কর্নাটক ক্যাবিনেট সংরক্ষণ বিলে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল। এই বিলে বলা হয়েছে, কর্নাটকে বেসরকারি ক্ষেত্রেও ভূমিপুত্র অর্থাৎ কন্নড়দের সংরক্ষণ দিতে হবে। বেসরকারি সংস্থায় ম্যানেজমেন্ট পোস্টে ৫০ শতাংশ কন্নড়দের সংরক্ষণ এবং নন-ম্যানেজমেন্ট পোস্টে ৭৫ শতাংশ সংরক্ষণ দিতে হবে।

দেশের তথ্য প্রযুক্তি বা আইটি রাজধানী হিসাবে পরিচিত বেঙ্গালুরু। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের যুবক-যুবতীরা চাকরি করতে যান। সেই শহর যে রাজ্যে অবস্থিত, সেখানেই বেসরকারি ক্ষেত্রেও কন্নড়দের জন্য এত আসন সংরক্ষণের প্রস্তাব সামনে আসতেই তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। চরম সমালোচনার মুখে পড়ে কংগ্রেস সরকার। সফটওয়ার কর্তৃপক্ষ ন্যাসকমের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয় যে এই বিল নিয়ে তারা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। এই বিলের বিধান উন্নতিকে আটকে দেবে, স্টার্টআপ উদ্যোগকে বাধা দেবে। বহু সংস্থা এই রাজ্য ছেড়ে চলে যাবে, বিশেষত সেই সময়ে যখন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও রাজ্যে বিনিয়োগের কথা ভাবছে। বর্তমান প্রতিযোগিতাপ যুগে দক্ষ কর্মীদেরই খুঁজবে সকল সংস্থা।

এরপরই তড়িঘড়ি রাজ্য সরকারের তরফে এই বিল স্থগিত করে দেওয়া হয়।  আজ, বৃহস্পতিবারই “কর্নাটক স্টেট এমপ্লয়মেন্ট অব লোকাল ক্যান্ডিডেটস ইন দ্য ইন্ডাস্ট্রিজ, ফ্য়াকটরিজ অ্যান্ড আদার এসটাবলিসমেন্টস বিল ২০২৪” পেশ করার কথা ছিল।

মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানান যে বিধানসভায় পেশের আগে একবার পর্যালোচনা করে দেখা হবে বিলটি। তবে নিজেকে এবং সরকারকে কন্নড়-পন্থী বলেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকারের প্রধান লক্ষ্যই হল কন্নড়দের উন্নয়ন নিশ্চিত করা।

উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারও প্রথমে কন্নড়দের সংরক্ষণের দাবিতেই সুর চড়ালেও, চাপের মুখে পড়ে তিনি সুর নরম করে বলেছেন, “আমরা বিলটি আলোচনা করে দেখব… সংস্থা এবং কর্মচারীদের থেকেও আমরা বেশি উদ্বিগ্ন। কন্নড়দের কোথায় স্থান দেওয়া যায়, সে বিষয়টি আমরা দেখব।”