বেঙ্গালুরু: ঠিকাদারের মৃত্যুতে বিপাকে পড়েছেন মন্ত্রী। ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ ও পরে ঠিকাদারের আত্মহত্যার জেরে বিতর্ক দানা বাঁধতেই ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন কর্নাটকের মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পা (KS Eshwarappa)। গত বৃহস্পতিবারই তিনি জানিয়েছিলেন ইস্তফা দেওয়ার কথা। শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের (Basavaraj Bommai) সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এরপরই ইস্তফাপত্র (Resignation Letter) জমা দেন। যদিও তিনি জানিয়েছেন, সন্তোষ পাটিল নামক ওই ঠিকাদারের মৃত্যুর সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। চলতি সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পরই ইস্তফা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ঈশ্বরাপ্পা। তবে পুলিশি রিপোর্ট তৈরি হওয়ার আগেই তিনি ইস্তফা দিলেন।
ইস্তফাপত্র জমা দেওয়ার পর কে এস ঈশ্বরাপ্পা বলেন, “এটা আত্মহত্যা হোক বা খুন। এর সঠিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এতে আমার কোনও দোষ নেই। যিনি আসল অভিযুক্ত, তাঁকে খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে হবেই। যদি এটা খুন হতে থাকে, তবে দোষীদের শাস্তি পেতেই হবে। যদি আমি এক শতাংশও দোষী হই, তবে আমার পারিবারিক দেবীই আমায় শাস্তি দেবে।”
উল্লেখ্য, গতকাল মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের বাসভবনে দেখা করতে যান কে এস ঈশ্বরাপ্পা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বৈরাতী বাসবরাজ, এমটিবি নাগারাজ, আরাগা জ্ঞানেন্দ্রের মতো রাজ্যের মন্ত্রীরা। ইস্তফা দেওয়ার সময়ও তারা উপস্থিত ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে।
নিজের কেন্দ্র শিবমোগা থেকে বেঙ্গালুরুর উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগেই মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কারণও জানান ঈশ্বরাপ্পা। তিনি বলেন, “আমি দলের শীর্ষ নেতা ও শুভাকাঙ্খীদের কোনও সমস্যায় ফেলতে চাই না। তাই আমি বিকেলেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ইস্তফা জমা দেব। আমার বিশ্বাস যে আমি নিরাপরাধই প্রমাণিত হব।”
বিজেপি কর্মীদের জন্যও তিনি একটি নজির গড়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, “দলের সমস্ত কর্মী, বিধায়ক ও নেতারা আমার প্রতি সমর্থন প্রদর্শন করেছেন।তারা এই বিশ্বাস দেখিয়েছেন যে কোনও বিজেপি কর্মী এই ধরনের ভুল কাজ করতে পারেন না। আমার এই সিদ্ধান্তে বাকিরাও বুঝতে পারবে যে যতক্ষণ না তারা নিজেদের নিরাপরাধ প্রমাণ করবে, তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।”
আরও পড়ুন: India-China Relation: ‘ভারতও জবাব দেবে যদি…’, নাম না করেই চিনকে কড়া বার্তা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর