বেঙ্গালুরু: একরাত কাটালেই চাকরি দেওয়া হবে, এই টোপ দিয়েই এক মহিলাকে সহবাস করতে বাধ্য করেছিলেন কর্নাটকের জলসম্পদ মন্ত্রী রমেশ জারকিহোলি (Ramesh Jarkiholi)। স্থানীয় চ্যানেলগুলিতে মন্ত্রীর কীর্তি ফাঁস হতেই পদত্যাগ করেছিলেন ওই মন্ত্রী। তবে খোঁজ মিলছিল না ভিডিয়োর ওই মহিলার। এবার তাঁর পরিবারের তরফেই অপহরণ(Kidnap)-র অভিযোগ দায়ের করা হল। তাঁদের অভিযোগ, শেষবার কথা হওয়ার সময় মেয়ে ফোনে জানিয়েছিল যে তাঁর প্রাণ সঙ্কটে রয়েছে।
গত মাসেই কর্নাটকের একাধিক চ্যানেলে একটি ভাইরাল ভিডিয়ো দেখানো হয়। সেই ভিডিয়োয় এক মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায় জলসম্পদমন্ত্রী রমেশ জারকিহোলিকে। শারীরিক নির্যাতন ও নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হতেই তিনি মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেন। যদিও গোটা ঘটনায় তিনি নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করেন।
এদিকে, নির্যাতিতার বাবা মঙ্গলবার রাতে বেলাগাভির এপিএমসি পুলিশ স্টেশনে মেয়ের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ জানান। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩, ৩৬৮, ৩৪৩, ৩৪৬, ৩৫৪ ও ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করেছে।
আরও পড়ুন: নীতা অম্বানী অতিথি অধ্যাপক হওয়ার প্রস্তাবে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের
নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে একটি ভিডিয়োও পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় তাঁদের বলতে শোনা যায় যে মেয়ের জীবন সঙ্কট তৈরি হয়েছে এবং তাঁরা বিগত কয়েকদিন ধরেই মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। শেষবার ফোনে বার্তালাপের প্রসঙ্গে নির্যাতিতার মা বলেন, “বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর দেখেই মেয়েকে ফোন করেছিলাম। প্রশ্ন করেছিলাম যে টিভিতে যাকে দেখানো হচ্ছে, সেই মেয়েটিকে দেখানো হচ্ছে, সেটি ও কিনা। জবাবে ও বলেছিল যে সম্পূর্ণ ভিডিয়োটি ফেক। আমি কোনও ভুল কাজ করিনি। কিন্তু বাড়ি আসতে বললে ও ফিরতে অস্বীকার করে। জানায়, ওর প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে।”
তিনি জানান, পরবর্তী সময়ে মেসেজে সুরক্ষিত রয়েছেন বলে জানালেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বারণ করে। বর্তমানে ওই মহিলার ফোনও সুইচড অফ আসছে বলে অভিযোগ জানান তাঁর মা। টিভিতে মেয়ের আত্মহত্যার প্রচেষ্টার কথা জানতে পেরেই তাঁরা আরও ভয়ভীত হয়ে পড়েন এবং থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেন।
গত সপ্তাহেই ওই মহিলা নিজেও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে সরকারের কাছ থেকে নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “আমার কোনও নিরাপত্তা নেই। আমি আপনাদের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি। ওই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরই আমার আর কোনও মান-সম্মান বাকি নেই। লোকজন আমার বাড়িতে এসে আমার বিষয়ে প্রশ্ন করছে। আমার মা-বাবা দুইবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। আমিও কমপক্ষে তিন থেকে চারবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি।”
আরও পড়ুন: অম্বানীকাণ্ডে নয়া মোড়, কালো মার্সিডিজ় থেকে উদ্ধার নম্বরপ্লেট, লক্ষাধিক টাকা