তিরুবনন্তপুরম: নির্বাচনের আগেই বড় ধাক্কার মুখে কংগ্রেস(Congress)। “দলে কোনও গণতন্ত্র নেই” এই অভিযোগে দল থেকে পদত্যাগ করলেন কেরল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা পিসি চাকো(PC Chacko)। সোমবারই দল থেকে ইস্তফা দিলেও বুধবার দুপুরে কংগ্রেস ত্যাগের কথা জানান। ইতিমধ্যেই দলীয় নেত্রী সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) সেই ইস্তফা পত্র গ্রহণ করেছেন।
আগামী ৬ এপ্রিল কেরলে বিধানসভা নির্বাচন। তার এক মাস আগেই দল থেকে পদত্যাগ করলেন ৭৪ বছর বয়সী চাকো। কেরলে কংগ্রেসের অন্যতম মুখ ছিলেন পিসি চাকো, একইসঙ্গে তিনি দিল্লি কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি পদেও বহাল ছিলেন। তাঁর এই আচমকা পদত্যাগের পিছনে দলীয় কর্মীদের সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব না দেওয়াকেই দায়ী করেছেন।
পদত্যাগের কারণ হিসাবে তিনি বলেন, “কংগ্রেসের অন্দরে আর কোনও গণতন্ত্র নেই। আগামী নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার আগেও দলীয়কর্মীদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি। এইজন্যই আমি পদত্যাগ করছি। ইতিমধ্যেই দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীর কাছে আমার ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছি।”
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছিল উপত্যকায় গাড়ি বিস্ফোরণের পরিকল্পনা, পুলিশের জালে ধৃত পড়ুয়া
দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, “কংগ্রেসকর্মী হওয়া অত্যন্ত গর্বের বিষয় কিন্তু কেরলে কংগ্রেসকর্মী হিসাবে টিকে থাকা খুবই কঠিন। যদি আপনি দলের বিশেষ কোনও গোষ্ঠীর অংশ হন, তবেই একমাত্র টিকে থাকতে পারবেন। এই বিষয়ে দলের শীর্ষনেতৃত্ব খুব একটা বেশী সক্রিয় নন।”
Congress is a great tradition. Being a Congress man is prestigious thing but today in Kerala nobody can be a Congress man. One can belong to either ‘I group’ or ‘A group’. So I decided to call it a day. High Command is mute witness to this disaster & there’s no remedy: PC Chacko
— ANI (@ANI) March 10, 2021
চাকোর পাশাপাশি রাজ্য সভাপতি সুভাষ চোপড়াও মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন। কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি কেসি বেণুগোপাল একটি বিবৃতি জারি করে বলেন, “কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট সনিয়া গান্ধী, পিসি চাকো ও সুভাষ চোপড়ার ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন। এর পরিবর্তে শক্তি সিং গোহিলকে অন্তর্বর্তীকালীন কার্যনির্বাহী সভাপতি পদে নিয়োগ করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: ইমরানের পাকিস্তানে মেড-ইন-ইন্ডিয়া টিকা পাঠাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী