সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছিল উপত্যকায় গাড়ি বিস্ফোরণের পরিকল্পনা, পুলিশের জালে ধৃত পড়ুয়া

গাড়ি বোমা(Car Bomb)-র মাধ্যমে কাশ্মীরে (Kashmir) বড়সড় নাশকতার ছক কষছিল জঙ্গিরা। এরজন্য টেলিগ্রাম অ্যাপ(Telegram)-র মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়েছিল সাহিল নাজির নামক এক পড়ুয়াকে। গাড়ি জোগাড়ের জন্য তাঁকে টাকাও দেওয়া হয়েছিল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছিল উপত্যকায় গাড়ি বিস্ফোরণের পরিকল্পনা, পুলিশের জালে ধৃত পড়ুয়া
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Mar 10, 2021 | 1:52 PM

কাশ্মীর: সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং তাঁদের ব্যবহার করেই উপত্যকায় বড়সড় নাশকতার ছক কষছিল জঙ্গিরা। কিন্তু নজর এড়ানো গেল না পুলিশের। বুধবার গাড়ি বোঝাই বিস্ফোরক রাখার আগেই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের জালে ধরা পড়ল এক পড়ুয়া।

জম্মু-কাশ্মীরের অবন্তিপুরায় নাশকতার পরিকল্পনা চলছে, এমন আঁচ আগেই পেয়েছিল পুলিশ। এরপরই কড়া নজরদারি শুরু হয়েছিল। মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে পড়ুয়াদের যোগাযোগ করে তাঁদের নাশকতার কাজে ব্যবহার করতে চায় জঙ্গিরা, এমন খবর পেতেই আরও গভীরে তদন্ত শুরু হয়। পুলিশের জালে ধরা পড়ে সাহিল নাজির নামক এক পড়ুয়া।

আরও পড়ুন: মেয়েকে গণধর্ষণ, অভিযোগ জানানোর দু’দিন পরেই নির্যাতিতার বাবাকে পিষে মারল ট্রাক

পুলিশি জেরায় জানা যায়, নাজির বিগত কয়েকদিন ধরেই গাড়ি বিস্ফোরণ করার পরিকল্পনা করছিল। তবে নিজে নয়, টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে তাঁকে  যোগাযোগ করা হয়েছিল। গাড়ি জোগাড় করার জন্য তাঁকে টাকাও দেওয়া হয়েছিল। তবে কারা এই বিস্ফোরণের মূল চক্রী, সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।

সাহিল নাজিরের বয়ানের সূত্র ধরেই পরবর্তী সময়ে আরও দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং একটি মারুতি গাড়িও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

কাশ্মীর পুলিশের ইন্সপেকটর জেনারেল বলেন, “বড় নাশকতার ছক কষা হচ্ছিল। পুলিশি তৎপরতায় তা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। জেরায় সাহিল নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে এবং পূর্বে একটি গ্রেনেড হামলার সঙ্গেও সে জড়িত ছিল বলে জানা গিয়েছে। গাড়ি বিস্ফোরণের জন্য একটি গাড়ির ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছিল এবং সেইজন্য টাকাও দেওয়া হয়েছিল।”

আরও পড়ুন: ভারতে আসছে ২২ হাজার কোটির অস্ত্রবাহী ড্রোন, ঘুম উড়েছে চিন-পাকিস্তানের