Kerala Infant Murder Case: নাতি-নাতনিকে সঙ্গে নিয়েই হোটেলে গিয়েছিলেন, বন্ধ ঘরে প্রেমিকের সঙ্গে ঠাকুমার কীর্তিতে স্তম্ভিত পুলিশও!

Kerala Infant Murder Case: প্রাথমিক জেরার পর, প্রেমিক বিনয় ডিক্রুজকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই যুবক বাড়িতে ফিরে গিয়ে নিজের মায়ের কাছে অপরাধ স্বীকার করে নেন। এরপরই ওই যুবকের মা-ই পুলিশে খবর দেন।

Kerala Infant Murder Case: নাতি-নাতনিকে সঙ্গে নিয়েই হোটেলে গিয়েছিলেন, বন্ধ ঘরে প্রেমিকের সঙ্গে ঠাকুমার কীর্তিতে স্তম্ভিত পুলিশও!
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 14, 2022 | 1:16 PM

তিরুবনন্তপুরম: দুধ খেতে গিয়েই নাকি দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল কোলের শিশুর। তবে মৃত্যুর শংসাপত্র দেখেই সন্দেহ হয় পুলিশের। তদন্তে নেমেই প্রতি পরতে খোঁজ মেলে নতুন রহস্যের। অবশেষে এক সপ্তাহের মধ্যেই সেই রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ। কেরলে এক নবজাতকের মৃত্যুর তদন্তে গ্রেফতার করা হল শিশুটির বাবাকেই। আটক করা হয়েছে তাঁর ঠাকুমাকেও। জানা গিয়েছে, সম্প্রতিই নাতি-নাতনিকে সঙ্গে নিয়ে একটি হোটেলে গিয়েছিলেন ঠাকুমা। সেখানেই লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করতে এসেছিল তাঁর প্রেমিক। তারা দুজন মিলেই ওই শিশুটিকে খুন করে।

কেরল পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার ওই শিশুমৃত্যুর তদন্তে তাঁর বাবাকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ওই শিশুর ঠাকুমাকেও। এর আগেই বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছিল ওই মহিলার প্রেমিককে। তাঁর নাম বিনয় ডিক্রুজ (২৭)। ওই যুবক ইতিমধ্যেই শিশুটিকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে।

জানা গিয়েছে, সিপসি নামক ওই বৃদ্ধাকে আটক করা হয়েছে এবং তাঁকে এর্নাকুলাম পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। শিশুটির বাবা সজীব শাজিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের দুজনের বিরুদ্ধেই শিশুর বিরুদ্ধে অত্যাচার, অবহেলা সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই শিশুটির মা সম্প্রতিই কর্মসূত্রে তিন মাসের জন্য বিদেশ গিয়েছিলেন। অন্যদিকে, বাচ্চাদুটির বাবাও অসুস্থ থাকায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ফলে শিশু দুটির ঠাকুমাই তাদের দেখভাল করছিলেন। সম্প্রতিই ওই বৃদ্ধা একটি হোটেলে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে নবজাতক শিশুকন্যা ও তাঁর পাঁচ বছরের দাদাও ছিল। সেখানেই ওই বৃদ্ধার প্রেমিক দেখা করতে আসে। এর কিছুক্ষণ পরই তারা দাবি করেন যে, কোলের শিশুটি দুধ খেতে গিয়ে দমবন্ধ হয়ে মারা গিয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরাও শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

প্রাথমিক জেরার পর, প্রেমিক বিনয় ডিক্রুজকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই যুবক বাড়িতে ফিরে গিয়ে নিজের মায়ের কাছে অপরাধ স্বীকার করে নেন। এরপরই ওই যুবকের মা-ই পুলিশে খবর দেন। গ্রেফতারির পর ওই যুবক অপরাধ স্বীকার করে নেয়। জানায়, ঠাকুমার সঙ্গে পরিকল্পনা করেই হোটেলে জলে ডুবিয়ে মেরে ফেলা হয় ওই শিশুকে। তবে কী কারণে ওই শিশুকে খুন করা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি।

এদিকে, গত সপ্তাহেই ওই শিশুর মা খবর পান যে, তাঁর সন্তান অসুস্থ। বিদেশ থেকে ফিরে জানতে পারেন তাঁর সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। তিনি পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, বিয়ের পরই শাশুড়ির নানা অপরাধের কথা তিনি জানতে পেরেছিলেন। তবে স্বামীর চাপে কোনওদিন মুখ খুলতে পারেননি। শিশুটির বাবাকেও অপরাধে মদত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।