Kerala: স্বামী নেই, তিন সন্তানের এক জন বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন, ৫০০ টাকা ধার চেয়ে এখন ওই মহিলা অর্ধ কোটির মালিক! নেপথ্যে ফেসবুক

Kerala Donation: সুভদ্রা নামক ওই মহিলার তিন সন্তান। তাদের মধ্য়ে একজন সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত। গত অগস্ট মাসে তাঁর স্বামীও মারা যান। এরপর থেকেই আর্থিক অনটনের সঙ্গে লড়াই করছিলেন।

Kerala: স্বামী নেই, তিন সন্তানের এক জন বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন, ৫০০ টাকা ধার চেয়ে এখন ওই মহিলা অর্ধ কোটির মালিক! নেপথ্যে ফেসবুক
শিক্ষিকা ও ছাত্রের মা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 22, 2022 | 9:31 AM

তিরুবনন্তপুরম: তিন সন্তানকে নিয়ে সংসার, কোনওমতে ‘দিন আনি-দিন খাই’ পরিস্থিতিতে চালান সংসার। গত অগস্ট মাসে স্বামীও মারা যান। তারপর থেকে দিনে দুবেলা সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেওয়াও দুষ্কর হয়ে উঠেছিল। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে ছেলের এক শিক্ষকের কাছে ৫০০ টাকা ধার চেয়েছিলেন। পরিবর্তে যা পেলেন, তা সারা জীবনেও ভুলতে পারবেন না। দুইদিন পরই দেখলেন, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ৫০০ টাকা নয়, এসেছে ৫১ লক্ষ টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের পালাক্কডে। সুভদ্রা নামক বছর ৪৬-র এক মহিলা তাঁর ছেলের শিক্ষকের কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার চেয়েছিলেন সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য। ৫০০ টাকার বদলে সেই মহিলা পেলেন ৫১ লক্ষ টাকা। প্রথমে ভুল করে টাকা চলে এসেছে ভাবলেও, ওই শিক্ষক জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহায্য় চাইলেই এত টাকা জমা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, সুভদ্রা নামক ওই মহিলার তিন সন্তান। তাদের মধ্য়ে একজন সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত। গত অগস্ট মাসে তাঁর স্বামীও মারা যান। এরপর থেকেই আর্থিক অনটনের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। সম্প্রতিই তিনি চরম আর্থিক কষ্টে পড়েন। বাধ্য হয়ে ছেলে অভিষেকের শিক্ষিকা গিরিজা হরিকুমারের কাছে ৫০০ টাকা ধার চান খাবার কেনার জন্য।

ওই পরিবারের আর্থিক দুর্দশা দেখে গিরিজা হরিকুমার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন এবং আর্থিক সাহায্য় চান। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রাউডফান্ডিং শুরু করেন। সোশ্যাল মিডিয়ার ওই পোস্টে সুভদ্রার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেইলসও দিয়ে দেন, যাতে সরাসরি ওই মহিলার ব্যাঙ্কে টাকা চলে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই পোস্ট রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়। মোট ৫১ লক্ষ টাকা ওঠে।

ওই শিক্ষিকা জানান, তাঁর এক ছাত্রোর মা তাঁর কাছে ৫০০ টাকা ধার চেয়েছিলেন। তিনি ১ হাজার টাকা দেন। সেইসঙ্গে জানিয়েছিলেন, ওই পরিবারের জন্য কিছু করবেন। ওই শিক্ষিকা জানান, তিনি সুভদ্রা নামক ওই মহিলার বাড়িতেও যান। সেখানে দেখতে পান, মাত্র এক মুঠো চাল পড়ে রয়েছে রান্নাঘরে, বাচ্চাদের খাওয়ার জন্য কিচ্ছু ছিল না।