Kiren Rijiju: ‘কলকাতা থেকে মমতার নির্দেশেই…’, প্রতিবাদে ‘এগিয়ে থাকা’ তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘বিশৃঙ্খলার’ দায় ঠেললেন রিজিজু

Kiren Rijiju: কিরেণ রিজিজু বলেন, "কথা হয়েছিল যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিল পেশ করবেন ওই সময় কেউ কিছু বলবেন না। সবাই বিল সম্পর্কে শুনবেন। তারপর নিজেদের মতামত রাখবেন। কিন্তু অধিবেশন যাই শুরু হল, তখনই তৃণমূলের সাংসদরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।"

Kiren Rijiju: কলকাতা থেকে মমতার নির্দেশেই..., প্রতিবাদে এগিয়ে থাকা তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলার দায় ঠেললেন রিজিজু
কিরেণ রিজিজু এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (বাঁদিক থেকে)Image Credit source: PTI

|

Aug 24, 2025 | 4:01 PM

নয়াদিল্লি: সংসদে ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ হওয়ার দিন সন্ধ্যায় তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় সাংবাদিক বৈঠক থেকে বলেছিলেন, ‘প্রতিবাদে এগিয়ে তৃণমূলই’। এগিয়ে না পিছিয়ে, তা বিতর্কিত। তবে সেদিনের প্রতিবাদের জেরে আপাতত জেপিসি কমিটিতে বিবেচনার জন্য় পাঠানো হয়েছে ওই বিলকে। আর সেই আবহেই বড় কথা বলে দিলেন কেন্দ্রীয় পরিষদীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু।

কংগ্রেস নয়, সংসদে ‘বিশৃঙ্খলা’ তৈরির কান্ডারি হিসাবে তৃণমূলের দিকে দায় ঠেলে দিয়েছেন তিনি। সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেন, “কথা হয়েছিল যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিল পেশ করবেন ওই সময় কেউ কিছু বলবেন না। সবাই বিল সম্পর্কে শুনবেন। তারপর নিজেদের মতামত রাখবেন। কিন্তু অধিবেশন যাই শুরু হল, তখনই তৃণমূলের সাংসদরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কাগজ ছুড়তে শুরু করল। ওদের দেখে কংগ্রেস নেতা ভেনুগোপালও চিৎকার করতে শুরু করলেন, বিলের কাগজ ছিঁড়ে দিলেন।”

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, এই ‘বিশৃঙ্খলা’ আসলে হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নির্দেশেই’। তাঁর কথায়, “আমি কংগ্রেস সাংসদদের কোনও দোষ দেব না। নেত্রী যেমন, সাংসদরাও তেমন। কলকাতা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিলেন আর এখানে সাংসদরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দিলেন। আমরা তো প্রধানমন্ত্রীর থেকে পরামর্শ নিয়ে সুষ্ঠ ভাবে সংসদ পরিচালনার জন্য রণনীতি নির্ধারণ করি। কিন্তু এদের তো ওরকম নয়। নেত্রীর থেকে একটা মেসেজ ঢোকে আর রণনীতি বদলে যায়।”

অবশ্য, রিজিজুর দাবিতে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল শিবির। প্রতিবাদে যে তারা এগিয়ে, দলীয় লাইনেই সেটা বুঝিয়ে দিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “প্রতিবাদ করার অধিকার আমাদের রয়েছে। করেছি, করব। কিন্তু কিরেণ রিজিজুর একজন মহিলাকে মারতে আসার অধিকার নেই। একজন পরিষদীয় মন্ত্রী একজন তফসিলি জাতির সাংসদকে মারতে আসছেন, এই নিদর্শন কোথাও নেই।”