Kochi Fire: রাতেও মাস্ক পরে ঘুম! ক্যানসার, বন্ধ্যাও হয়ে যেতে পারেন কোচির বাসিন্দারা, কেন এই পরিস্থিতি?
Toxic Gas: ওই ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে রয়েছে একটি গার্লস হস্টেল। সেখানের বাসিন্দা পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, সর্বক্ষণ চোখ-গলা জ্বালা করছে। দম বন্ধ হয়ে আসছে।
কোচি: ৯ দিন কেটে গিয়েছে, এখনও আগুন (Fire) নেভার নাম নেই। ৩০টিরও বেশি দমকল বাহিনী ও নৌ সেনার হেলিকপ্টার ব্যবহার করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হচ্ছে কেরলের কোচির বর্জ্য নিষ্কাশন প্ল্যান্ট বা ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্টে (Waste Management Plant Fire)। যদিও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের দ্বিতীয় দিনেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য জমা থাকায়, যার মধ্যে অধিকাংশই দাহ্য পদার্থ, তার ভিতরে বেশ কিছু ফায়ার পকেট রয়েছে। সেখান থেকেই ক্রমাগত বিষাক্ত কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে বিগত এক সপ্তাহ ধরে।
জানা গিয়েছে, এক সপ্তাহ আগে কোচির ব্রহ্মপুরম এলাকায় একটি ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্টে আগুন লাগে। প্রায় ১০০ একর জমির উপরে বর্জ্য পদার্থ ফেলার জায়গা বা ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে বিগত ৯ দিন ধরে বিষাক্ত ধোঁয়া বের হচ্ছে। গোটা শহরে ছড়িয়ে পড়েছে সেই বিষাক্ত গ্যাস। সাধারণ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বিষাক্ত পরিবেশের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। একদিকে যেমন বুলডোজার দিয়ে বর্জ্য পদার্থ সরানো হচ্ছে, পাশাপাশি দমকল কর্মীরা ক্রমাগত জল দিয়ে ফায়ার পকেট নেভানোর চেষ্টা করছে। নৌসেনারও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।
Consequent to assistance sought by Dist authorities over massive fire at Brahamapuram wasteplant #Kochi, #SouthernNavalCommand has pressed into action naval #firefighting services.Aerial survey undertaken to assess extent of fire 03 Mar 23.Joint effort with Dist Admin in progress pic.twitter.com/aMFCnzvCtV
— Southern Naval Command (@IN_HQSNC) March 4, 2023
ওই ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে রয়েছে একটি গার্লস হস্টেল। সেখানের বাসিন্দা পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, সর্বক্ষণ চোখ-গলা জ্বালা করছে। দম বন্ধ হয়ে আসছে। বাধ্য হয়ে মাস্ক পরেই রাতে ঘুমাচ্ছেন অনেকে। অনেক পড়ুয়ার অভিভাবকেরা আবার নিজেদের সন্তানকে তড়িঘড়ি হস্টেল থেকে নিয়ে গিয়েছেন বিষাক্ত গ্যাসের প্রকোপ থেকে বাঁচাতে।
অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গোটা শহরে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ রাস্তায় বের হলেই তাদের গলা জ্বালা, চোখ জ্বালা করছে। তবে এই বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাব শরীরের উপরে দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। কার্সিনোজেনিক গ্যাসের কারণে ক্যানসার, কিডনির সমস্যা, বন্ধাত্ব, এমনকী ফুসফুসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।