AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nirmala Sitharaman : কালেক্টারকে আচমকা প্রশ্ন, নির্মলার ব্যবহারে ‘হতবাক’ কেসিআর পুত্র

Nirmala Sitharaman : তেলঙ্গনার বিরকুরে রেশন দোকান পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। সেখানে এক জেলা কালেক্টরের সঙ্গে তাঁর ব্যবহারে সুর চড়িয়েছে টিআরএস।

Nirmala Sitharaman : কালেক্টারকে আচমকা প্রশ্ন, নির্মলার ব্যবহারে 'হতবাক' কেসিআর পুত্র
ছবি সৌজন্যে : টুইটার
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2022 | 3:55 PM
Share

হায়দরাবাদ : তেলঙ্গানার মন্ত্রী তথা কেসিআর পুত্র কেটি রামা রাওয়ের নিশানায় এবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। একজন কালেক্টরের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর ব্যবহারে ব্যথিত বলে জানিয়েছেন কেসিআর পুত্র। তিনি বলেছেন, উচ্চ পদাধিকারী ব্যক্তিদের সঙ্গে এরূপ আচরণ কঠোর পরিশ্রম করা এআইএস আধিকারিকদের নিরুৎসাহিত করবে।

ঘটনার সূত্রপাত একটি প্রশ্ন থেকে। গতকাল তেলঙ্গনার বিরকুরে পিডিএস রেশন দোকান পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সেখানে তিনি একজন জেলা কালেক্টরের কাছে প্রশ্ন রেখেছিলেন। তিনি জানতে চেয়েছিলেন, ন্যায্য মূল্যের দোকানের মাধ্যমে জনগণকে দেওয়া চালে কেন্দ্র ও রাজ্যের ভাগ কত। কিন্তু সেই উত্তর দিতে পারেননি কালেক্টর। তারপরই সেই কালেক্টরকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তিরস্কার করেন। তিনি জেলা কালেক্টর জিতেশ পাতিলকে জনসমক্ষে বলেন, ‘একেবারেই না। আপনি ইন্ডিয়ান অ্য়াডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের তেলঙ্গানা ক্যাডারের একজন আধিকারিক। আপনি আমাকে বলছেন রাজ্য ৩৪ টাকা দিচ্ছে? মাফ করবেন! আপনার উত্তর নিয়ে কি আপনি একবার ভেবে দেখবেন?’ তিনি সেই কালেক্টরকে ভেবে বলারও সময় দেন। এবার সেই ঘটনায় গভীরভাবে ব্যথিত হয়েছেন কেটিআর। গতকাল রাতে তিনি টুইটে লেখেন, ‘আমি আজ কামারেড্ডির ম্যাজিস্ট্রেট বা কালেক্টরের সঙ্গে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের অবাধ্য আচরণ দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাস্তায় এই ধরনের রাজনৈতিক নাটক কঠোর পরিশ্রমী এআইএস আধিকারিকদের নিরুৎসাহিত করবে।’ তিনি টুইটে লেখেন, ‘কালেক্টর জিতেশ ভি পাতিলকে আমার অভিনন্দন সম্মাজনক আচরণ প্রদর্শনের জন্য।’ এদিকে তেলঙ্গানা বিজেপির তরফে অর্থমন্ত্রীর এই ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে। এবং বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, আইএএস অফিসার জানেন না যে, ৩৫ টাকা কেজি চালের ২৮ টাকা দেয় কেন্দ্র। সুবিধাভোগীরা সেই চাল পান মাত্র ১ টাকা। এখানে রাজ্যের তরফে ৬ টাকা করে দেওয়া হয়। কালেক্টর অর্থমন্ত্রীকে বলেছেন, রাজ্য ৩৪ টাকা করে দেয় এই চাল সরবরাহের জন্য।

বিরকুরে রেশনের দোকান পরিদর্শনের সময় জিতেশ পাতিলের কাছে আরও একটি প্রশ্ন রাখেন। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কোনও ছবি নেই কেন। নির্মলা সীতারমন বলেছেন, ২০২০ সালের মার্চ-এপ্রিল থেকে কেন্দ্র ৩০ থেকে ৩৫ টাকার চাল বিনামূল্যে সরবরাহ করে যাচ্ছে। এখানে রাজ্য সরকার বা কোনও সুবিধাভোগীদের কোনও টাকা দিতে হয় না। প্রসঙ্গত, তেলঙ্গানায় ক্ষমতাসীন কেসিআর সম্প্রতি বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। মোদীর হায়দরাবাদ সফর ঘিরে বারবার তাঁকে স্বাগত জানাতে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে কেসিআরকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২৪ এর নির্বাচনের বিরোধী শিবিরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন কেসিআর। সেই লক্ষ্যে কেন্দ্র তথা বিজেপিকে আক্রমণ করতে একটি ইস্যুও ছাড়ছেন না পিতা-পুত্র।