Eye Drop: কাঠগড়ায় ভারতে তৈরি চোখের ড্রপ! কারখানায় হানা ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের, আমদানি বন্ধ করল আমেরিকা
ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমিত ওই চোখের ড্রপ ব্যবহার করে বেশ কয়েক জনের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন এবং ব্লাডস্ট্রিম সংক্রমণের জেরে এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি।
চেন্নাই: ভারতীয় সংস্থার তৈরি চোখের ড্রপ ব্যবহার করে এক আমেরিকান নাগরিকের মৃত্যুর পরই বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে স্বাস্থ্য মহলে। চেন্নাইয়ের ওই ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার কারখানায় শুক্রবার গভীর রাতে হানা দেয় তামিলনাড়ুর ড্রাগ কন্ট্রোলার এবং সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোল অথোরিটির সদস্যরা। গ্লোবাল ফার্মা হেলথকেয়ার প্রাইভেট লিমিটেড চেন্নাই থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। ওই কারখানায় ইতিমধ্যেই চোখের ড্রপ তৈরি করা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে তৈরি চোখের ড্রপে ড্রাগ প্রতিরোধী ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের অভিযোগ তোলেন আমেরিকার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমিত ওই চোখের ড্রপ ব্যবহার করে বেশ কয়েক জনের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন এবং ব্লাডস্ট্রিম সংক্রমণের জেরে এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি। এর পরই ওই চোখের ড্রপের পরীক্ষা করে আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ওই চোখের ড্রপের আমদানি বন্ধ করেছে।
শুক্রবার গভীর রাতে ওই চোখের ড্রপ প্রস্তুতকারক সংস্থার কারখানায় হানা দেয়। এ নিয়ে তামিলনাড়ুর ড্রাগ কন্ট্রোলার পিভি বিজয়লক্ষ্মী বলেছেন, “আমেরিকায় ওই চোখের ড্রপের যে ব্যাচ পাঠানো হয়েছিল, তার নমুনা আমরা সংগ্রহ করেছি। যে কাঁচামাল দিয়ে ওযুধ তৈরি করা হয় তার নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। আমরা আমেরিকার থেকে নমুনা আসার অপেক্ষা করছি। এ নিয়ে প্রাথমিক একটি রিপোর্ট সরকারকে জমা দেওয়া হয়েছে।”
বিজয়লক্ষ্মী আরও জানিয়েছেন, আমেরিকায় যে ওষুধগুলি ব্যবহার করে সংক্রমণ ঘটেছে সে গুলি পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু যে সমস্ত ওষুধ খোলা হয়নি, সেই পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও আসেনি। ওই রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই রিপোর্ট সঙ্গে শুক্রবার রাতে হানার নমুনা পরীক্ষা করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। আমেরিকায় ভারতীয় সংস্থার তৈরি চোখের ড্রপ থেকে বিভ্রাট ঘটার আগে ভারতে তৈরি কফ সিরাপ খেয়ে উজবেকিস্তান ও গাম্বিয়ায় বেশ কয়েক জন শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। তা নিয়ে রিপোর্টও জমা দিতে হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় (হু)।