মুম্বই: বাবা সিদ্দিকির খুনের দায় স্বীকার করল লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং। একইসঙ্গে সতর্কবার্তা দিল সলমন খানের জন্যও। জেলবন্দি কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের তরফে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, যারাই সলমন খানকে সাহায্য করবে, তাদের একই পরিণতি হবে!
শনিবার, দশমীর রাতে ছেলের পার্টি অফিসের সামনে গুলিবিদ্ধ হন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তিনবারের বিধায়ক বাবা সিদ্দিকি। তাঁকে লক্ষ্য করে ছয় রাউন্ড গুলি চলে, যার মধ্যে চারটি গুলি বাবা সিদ্দিকির বুকে লাগে। লীলাবতি হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। বাবা সিদ্দিকির উপরে হামলার খবর শুনে ছুটে গিয়েছিলেন সলমন খান, সঞ্জয় দত্তের মতো অভিনেতারা।
রবিবারই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল যে বাবা সিদ্দিকির খুনের পিছনে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের হাত রয়েছে। এরপর শুবু লঙ্কার নামক একজন ফেসবুক পোস্টে বাবা সিদ্দিকির হত্যার দায় স্বীকার করে। শুবু বা শুভম রামেশ্বর লঙ্কার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের সদস্য বলেই জানা গিয়েছে। শুবু বর্তমানে জেলে। রবিবারই তাঁর ভাই প্রবীণ লঙ্কারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ফেসবুক পোস্টে শুবু লঙ্কার দাবি করেছে যে বাবা সিদ্দিকির সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিমের সম্পর্ক ছিল এবং সলমন খান ঘনিষ্ঠ বলেই বাবা সিদ্দিকিকে হত্যা করা হয়েছে। সলমন খানের বাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত অনুজ থাপানের পুলিশ হেফাজতে আত্মহত্য়ার বদলা বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই পোস্টেই আরও লেখা, “আমাদের কারোর সঙ্গে শত্রুতা নেই, কিন্তু যারাই সলমন খান ও দাউদ গ্যাং-কে সাহায্য করবে, তারা নিজেদের হিসাব-কিতাব করে রেখো।”
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় চিঙ্কারা ও কৃষ্ণসার মৃগ হত্যা করার অভিযোগ ওঠে সলমন খানের বিরুদ্ধে। তাঁকে জেলেও যেতে হয়। কৃষ্ণসার মৃগ বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের পুজিত। এরপর থেকেই সলমনকে বারেবারে খুনের হুমকি দিচ্ছে জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই।