মুম্বই: কোথাও ভোটের ব্যবধান ৫০০০, কোথাও আবার ৭,০০,০০০। লোকসভা নির্বাচনে কড়া টক্কর হয়েছে প্রার্থীদের মধ্যে। সর্বাধিক ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন ইন্দোর বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর লালওয়ানি। ১১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৯২ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন তিনি। রেকর্ড ভোট পেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে সবথেকে কম ভোটের ব্যবধানে কে জয়ী হয়েছেন জানেন?
যেখানে বিজেপি প্রার্থী রেকর্ড ১১ লক্ষ ভোটে জয়ী হয়েছেন, সেখানেই সবথেকে কম ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে) শিবিরের রবীন্দ্র ওয়েকার। তিনি হারিয়েছেন শিবসেবা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে)-র আমোল কীর্তিকারকে। তাদের ভোটের মধ্যে ভোটের ব্যবধান মাত্র ৪৮। তাও আবার এর মধ্যে ৪৭টি ভোটই পড়েছে পোস্টাল ব্যালটে।
মুম্বই উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছিলেন শিবসেনার দুই শিবিরের নেতা। গোরেগাঁওতে গণনা চলছিল। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আমোল কীর্তিকার এগিয়েছিলেন। ২৬ তম রাউন্ডের পর শিবসেনা (ইউবিটি)-র আমোল কীর্তিকার শিন্ডে শিবিরের প্রার্থী রবীন্দ্র ওয়েকারের থেকে ৬৮১ ভোটে এগিয়ে যান।
এই ফল হাতে পেতেই বিজয়োৎসব শুরু করে দেয় শিবসেনা ইউবিটি ও কংগ্রেসের কর্মীরা। এমনকী, শিবসেনা (ইউবিটি)-র আমোল কীর্তিকার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জয়ের কৃতিত্ব সাধারণ মানুষকেও দিতে দেন।
কিন্তু খেলা ঘুরে যায় কিছুক্ষণ পরই। জয়ের ব্যবধান খুব কম থাকায়, শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-র শিবিরের প্রার্থী রবীন্দ্র ওয়েকার পুনর্গণনার দাবি জানান। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী তার অনুমতি দেওয়া হলে, আবার ৯ লক্ষ ৫১ হাজার ৫৮২ ভোট গণনা করা হয়।
পুনর্গণনার পর দেখা যায়, আমোল কীর্তিকার রবীন্দ্র ওয়েকারের থেকে ১ ভোট বেশি পেয়েছেন। পরে পোস্টাল ব্যালট গোনা হয়, দেখা যায়, রবীন্দ্র ওয়েকার ৪৯ ভোট বেশি পেয়েছেন। ইভিএম গণনায় যেহেতু আমোল কীর্তিকার ১ ভোটে এগিয়ে ছিলেন, তাই শেষ পর্যন্ত গণনায় দাঁড়ায়, শিবসেনা (ইউবিটি)-র প্রার্থীর থেকে ৪৮ ভোট বেশি পেয়েছেন একনাথ শিন্ডের শিবসেনা প্রার্থী।