চণ্ডীগঢ়: পাড়ায় বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে খেলতেই হঠাৎ উধাও হয়ে গিয়েছিল ১২ বছরের নাবালক। গোটা চত্বর তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তাঁর হদিশ মেলেনি। পুলিশে অভিযোগ জানানোর চিন্তাভাবনা করছিল যখন পরিবারের সকলে, সেই সময়ই বেজে উঠেছিল ফোন। দাবি করা হয়েছিল মোটা টাকা, তবে সরাসরি তাঁর কাছ থেকে নয়, বরং এক বন্ধুর কাছ থেকেই আনতে বলা হয়েছিল সেই টাকা। শুক্রবার চণ্ডীগঢ় পুলিশের তরফে অবশেষে গ্রেফতার করা হয় অপহরণকারীকে, অক্ষত অবস্থাতেই উদ্ধার করা হয় ওই ১২ বছরের কিশোরকে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সূত্র মারফত খবর পেয়েই অভিযুক্ত রাজু কুমার (২৫)-কে গ্রেফতার করা হয়। উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের বাসিন্দা ওই যুবক কামরে আলম নামক এক বন্ধুর ছেলেকেই অপহরণ করেন। জেরায় রাজু জানান, তিনি কামরে আলমের বন্ধু মুন্না কুমারের দোকানে দর্জি হিসাবে কাজ করতেন। তিনি মাস মাইনের একটা বড় অংশই দোকানের মালিক মুন্না কুমারের কাছে জমা রাখতেন। কিন্তু সম্প্রতিই সেই টাকা ফেরত চাইলে, মুন্না তা দিতে অস্বীকার করেন।
রাজু কুমার জানিয়েছেন, তিনি ৪০ হাজার টাকা পেতেন মুন্নার কাছ থেকে। বকেয়া টাকা উদ্ধার করতেই সে আলমের ছেলেকে গত ১২ এপ্রিল অপহরণ করেন। ওই দিনই কামরে আলম পুলিশে অপহরণের অভিযোগও দায়ের করেন। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গত ১৩ এপ্রিল কামরে আলমের কাছে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। ওই ফোনে তাঁকে বলা হয় যে মুন্না কুমারের সঙ্গে যেন তিনি কথা বলেন এবং চাপ দিয়ে টাকা উদ্ধার করে আনেন।
জানা গিয়েছে, রাজু অপহৃত কিশোরকে নিয়ে গাজিয়াবাদে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু শহর ছাড়ার আগেই শুক্রবার তাঁকে গ্রেফতার করে নেয় পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪৬ ও ৩৬৫ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।