Madhya Pradesh Burari like deaths: বুরারি ২.০? একই তারিখে ঝুলন্ত অবস্থায় মিলল কৃষক, তাঁর স্ত্রী ও ৩ সন্তানের লাশ
Madhya Pradesh Burari like deaths: উত্তর দিল্লির বুরারি কাণ্ডের কথা মনে আছে? সেটা ছিল ২০১৮ সালের ১ জুলাই। ছয় বছর পর, সেই একই তারিখে প্রায় একই ধরনের রহস্যজনক ঘটনা ঘটল মধ্যপ্রদেশে। একই পরিবারের চার সদস্যকে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং আরও একজনকে মেঝেতে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকা অবস্থায় পাওয়া গেল।
ভোপাল: উত্তর দিল্লির বুরারি কাণ্ডের কথা মনে আছে? ছয় বছর আগের ঘটনা। একই পরিবারের ১০ জন সদস্যকে তাদের বাড়ির সিলিং থেকে গলায় ফাঁস বদ্ধ এবং ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। পরিবারের সবথেকে বয়স্ক সদস্য, নারায়ণ দেবীর দেহ পড়ে মেঝেতে। সেটা ছিল ২০১৮ সালের ১ জুলাই। ছয় বছর পর, সেই একই তারিখে প্রায় একই ধরনের রহস্যজনক ঘটনা ঘটল মধ্যপ্রদেশে। সোমবার রাজ্যের আলিরাজপুর জেলার এক গ্রামে একই পরিবারের চার সদস্যকে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং আরও একজনকে মেঝেতে পড়ে থাকা অবস্থায় পাওয়া গেল।
মৃত ২৭ বছরের কৃষক রাকেশ দোদওয়া। মাঝে মাঝে সে গুজরাটে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যেত। তাঁর ২৫ বছর বয়সী স্ত্রী, ললিতা দোদওয়া। তাঁদের দুই ছেলে, প্রকাশ (৭) এবং অক্ষয় (৫)। এই চারজনকে রাবদি গ্রামে তাদের মাটির বাড়ির ছাদ থেকে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। আর রাকেশ ও ললিতার অপর সন্তান, লক্ষ্মীর (৯) লাশ পড়েছিল মেঝেতে। প্রাথমিকভাবে, এটি গণ-আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করছে পুলিশ। তবে, বুরারির ঘটনার সঙ্গে এত মিল থাকায়, এর পিছনে তন্ত্র-মন্ত্র চর্চার চেষ্টা থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। তবে আপাতত তারা সরকারিভাবে কিছু বলতে নারাজ।
এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, সোমবার সকাল ৯ বেজে ২০ মিনিট নাগাদ পুলিশের কাছে ওই পাঁচজনের মৃত্যুর খবর দেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ গিয়ে লাশগুলি উদ্ধার করে। আনা হয় ডগ স্কোয়াড এবং ফরেনসিক দলকেও। ঘটনাস্থল থেকে তারা আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে। তবে, ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। এই রহস্যময় ঘটনার তদন্তে আলীরাজপুরের সাব ডিভিশনাল অফিসার অব পুলিশের নেতৃত্বে একটি দল গঠন করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে এদিন ভোর ৬টার মধ্যে কোনও এক সময়ে এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছে পুলিশ। তারা মনে করছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই বলা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
এদিকে, মৃত পরিবারের অন্যআন্য আত্মীয়দের দাবি, ওই পরিবারের সকলকে হত্যা করা হয়েছে। এদিন সকালে মৃত রাকেশদের বাড়িতে এসেছিলেন তাঁদের এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। তিনিই বাড়িতে ঢুকে পাঁচটি লাশ আঐবিষকার করেন। সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের অন্যান্যদের খবর দেন তিনি। গ্রামবাসীদেরও দাবি, রাকেশ কখনও এমন কোনও সমস্যার কথা বলেনি যার কারণে তাঁকে আত্মহত্যা করতে হতে পারে। এখানেই ফের চলে আসছে বুরারি কাণ্ডের ছায়া। বুরারির ক্ষেত্রে, দীর্ঘ তদন্তের পর দিল্লি পুলিশ জানিয়েছিল, ললিত ভাটিয়া নামে ওই পরিবারের এক সদস্যের প্রভাবেই পরিবারের সকলে একটি বিশেষ ধরনের তান্ত্রিক আচার পালন করতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঝুলে পড়েছিলেন।