করোনা পরিস্থিতিতে অক্সিজেন এক্সপ্রেস চালাবে রেল, মধ্য ও উত্তরপ্রদেশের আবেদনে সিলমোহর
সোমবারই একটা খালি ট্যাঙ্কার কালাম্বলি আর বইসার থেকে যাত্রা শুরু করেছে। ভাইজ্যাগ, জামশেদপুর, রৌরকেল্লা আর বোকারো থেকে অক্সিজেন রিফিল করেছে এই দুটি ট্রেন।
দেশ: দেশব্যাপী হুহু করে বাড়ছে অক্সিজেন চাহিদা। এই অবস্থায় রাজ্যগুলোর চাহিদা মেটাতে অক্সিজেন এক্সপ্রেস (Oxygen Express) চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল (Indian Railway)। অক্সিজেনের যোগান মেটানোর জন্য এবার সেই বিশেষ ট্রন চালাতে রেলের কাছে আবেদন করেছিল মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশ সরকার। সেই আবেদনে সিলমোহর দিল রেল।
কোভিডের দ্বিতীয় পর্যায়ে সংক্রমণের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি যা চিন্তা বৃদ্ধি করছে তা হল অক্সিজেনের ঘাটতি এবং মৃত্যু হার। পরিসংখ্যান বলছে দেশে এই হার প্রায় সমান। বর্তমানে দেখা গিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত বেশিরভাগেরই প্রাথমিক লক্ষণ হচ্ছে শ্বাসকষ্ট। ৪৭.৫ শতাংশ রোগীর দেহে অন্যান্য উপসর্গের পাশাপাশি শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অক্সিজেন এক্সপ্রেস চালিয়ে রাজ্যগুলিকে অক্সিজেনের যোগান দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারগুলির আবেদনের প্রেক্ষিতে দ্রুত সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে অক্সিজেন এক্সপ্রেস চালু করা হবে বলে জানিয়েছে রেল।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে হু হু করে সংক্রমণ বাড়ছে কয়েকটি রাজ্যে। এই অবস্থায় রাজ্যগুলোর চাহিদা মেটাতে অক্সিজেন এক্সপ্রেসে লিকুইড অক্সিজেন আর সিলিন্ডার পাঠানো হবে। জানা গিয়েছে, সোমবারই একটা খালি ট্যাঙ্কার কালাম্বলি আর বইসার থেকে যাত্রা শুরু করেছে। ভাইজ্যাগ, জামশেদপুর, রৌরকেল্লা আর বোকারো থেকে অক্সিজেন রিফিল করেছে এই দুটি ট্রেন।
এর আগে মহারাষ্ট্র সরকার এর দাবি মেনে চালানো হয় করোনা এক্সপ্রেস। এবার আন্তঃরাজ্য পরিবহনে যাতে কোনও ভাবেই অক্সিজেনের সিলিন্ডারবাহী গাড়িগুলিকে কোনও বাধার মুখে পড়তে না হয় সে বিষয়ে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে মোদী সরকার। এছাড়াও কোনও রাজ্যেই যাতে অক্সিজেন সিলিন্ডারের ঘাটতি না হয়, পাশাপাশি উৎপাদনকারী এবং সরবরাহকারীরা যাতে হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষেত্রে বাধার মুখে না পড়ে সেই বিষয়টিও দেখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন: গ্রিন করিডরে অক্সিজেন নিয়ে ছুটবে স্পেশাল ট্রেন! কোভিড মোকাবিলায় কী কী উদ্যোগ রেলের?
এদিকে একাধিক রাজ্যে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সমস্ত হাসপাতালের অক্সিজেনযুক্ত আইসিইউ বেড ১০০ শতাংশ ভর্তি। কোনও জায়গা নেই হাসপাতালগুলিতে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিল রেল।