Bhopal: গোয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হানিমুনে বউকে অযোধ্যায় নিয়ে গেলেন স্বামী!
Bhopal: স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করেছিলেন, মধুচন্দ্রিমায় তাঁরা গোয়া এবং দক্ষিণ ভারত ভ্রমণে যাবেন। গোয়া যাওয়া হয়নি তাঁদের। স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়েই অযোধ্যা এবং বারাণসী ভ্রমণের ট্রেনের টিকিট ও হোটেলের রুম বুক করেছিলেন। যাওয়ার ঠিক আগের রাতে স্ত্রীকে স্বামী জানান, তাঁরা গোটার বদলে অযোধ্যায় যাচ্ছেন।
ভোপাল: রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভক্তদের ঢল নেমেছে অযোধ্যায়। প্রতিদিন লক্ষ-লক্ষ মানুষ আসছেন রাম জন্মভূমি মন্দির পরিদর্শনে। অথচ, স্ত্রীকে মধুচন্দ্রিমায় গোয়ার নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে, অযোধ্যায় বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার জেরে বিয়ে ভাঙতে বসেছে মধ্যপ্রদেশের ভোপালের এক বাসিন্দার। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনে, পারিবারিক আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেছেন স্ত্রী। তাগের মধ্যে মিটমাট করানোর আশায়, এখন এই দম্পতির ‘কাউন্সেলিং সেশন’ চলছে।
রিলেশনশিপ কাউন্সেলর শৈল অবস্থি জানিয়েছেন, গত বছরের অগস্টে বিয়ে করেছিলেন এই দম্পতি। স্ত্রী মধুচন্দ্রিমায়, মলদ্বীপের মতো কোনও বিদেশি জায়গায় যাওয়ার আবদার করেছিলেন। স্বামী আইটি এঞ্জিনিয়ার, স্ত্রীও বড় চাকরি করেন। দুজনেই আয় করেন ভালই। কাজেই বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকা-পয়সা নিয়ে তাঁদের ভাবনা ছিল না। কিন্তু, স্বামী জানিয়েছিলেন, তাঁদের কোনও দেশিয় পর্যটনস্থলে যাওয়াই ভাল। কারণ তিনি তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে চিন্তিত। তাদের শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত। তাই তাঁদের ছেড়ে বেশি দূরে যেতে চান না। এই নিয়ে স্ত্রী কিছুটা মনোক্ষুণ্ণ হলেও, শেষ পর্যন্ত স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করেছিলেন, মধুচন্দ্রিমায় তাঁরা গোয়া এবং দক্ষিণ ভারত ভ্রমণে যাবেন।
অবশ্য গোয়া যাওয়া হয়নি তাঁদের। স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়েই অযোধ্যা এবং বারাণসী ভ্রমণের ট্রেনের টিকিট ও হোটেলের রুম বুক করেছিলেন। যাওয়ার ঠিক আগের রাতে স্ত্রীকে স্বামী জানান, তাঁরা গোটার বদলে অযোধ্যায় যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, তাঁদের সঙ্গে তাঁর মাও যাবেন। তাঁর মায়ের খুব ইচ্ছে, রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে এই দুই পবিত্র শহরে ভ্রমণ করা। ফলে, বিয়ের পাঁচ মাসের মাথায় গোয়ার সমুদ্রতটে নিভৃত মধুচন্দ্রিমার স্বপ্ন, পরিণত হয়েছিল পারিবারিক তীর্থযাত্রায়।
তিনি সেই সময় অবশ্য কোনও আপত্তি করেননি স্ত্রী। কোনও বিবাদ ছাড়া স্বামীর পরিকল্পনা অনুযায়ী অযোধ্যা-বারাণসীতে চলে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, তীর্থ সেরে ফিরে আসার পর, এই নিয়ে ওই দম্পতির মধ্যে উত্তপ্ত তর্ক-বিতর্ক হয়। অযোধ্যা থেকে ফেরার দশদিনের মাথায়, তিনি স্বামীর কাছ থেকে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য পারিবারিক আদালতের দ্বারস্থ হন। তিনি আরও দাবি করেছেন, শুধু এই ক্ষেত্রেই নয়, বিয়ের পর সমস্ত বিষয়েই তাঁর স্বামী, স্ত্রীর থেকে বাড়ির অন্যান্য আত্মীয়দের কথাকেই বেশি গুরুত্ব দেন। স্বামীর বিরুদ্ধে বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগ করেছেন তিনি। এদিকে, স্বামী বিষয়টি অত্যন্ত তুচ্ছ বলেই দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, স্ত্রী এই সামান্য বিষয়টিকে নিয়ে বড় বাড়াবাড়ি করছে। দম্পতির কাউন্সেলিং চলছে। মিটমাট হবে কিনা, সেটা সময়ই বলবে।