AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Pahalgam Attack: ম্যাগি খাওয়ার বায়না জুড়েছিল ছেলে! আবদার রাখতে গিয়েই পহেলগাঁওয়ে প্রাণ বাঁচল গোটা পরিবারের

Pahalgam Attack: ছেলেকে খাবার কিনে দিয়ে সেই সময় শৌচালয়ে গিয়েছিলেন প্রদীপবাবুর স্ত্রী। সন্তানের নজরদারির জন্য রেখে গিয়েছিলেন বাবাকে। আর তখনই শুরু হয় গুলিবর্ষণ। বৈসরনের মূল দ্বারের দিকে পালিয়ে আসতে শুরু করে অন্য পর্যটকরা।

Pahalgam Attack: ম্যাগি খাওয়ার বায়না জুড়েছিল ছেলে! আবদার রাখতে গিয়েই পহেলগাঁওয়ে প্রাণ বাঁচল গোটা পরিবারের
প্রতীকী ছবিImage Credit: PTI
| Updated on: Apr 30, 2025 | 3:34 PM
Share

নয়াদিল্লি: ম্যাগি বাঁচাল প্রাণ। চোখের সামনে পহেলগাঁও হামলার নাশকতা দেখে বাড়ি ফিরলেন কর্নাটকের হেগড়ে পরিবার। মঙ্গলবার যখন সন্ত্রাস হামলায় ছন্দ কেটেছিল কাশ্মীরের। প্রাণ গিয়েছিল ২৬ জনের। সেই সময় পহেলগাঁওয়ের ওই বৈসরনেই উপস্থিত ছিলেন তারা।

চলতি মাসেই কর্নাটকের বাসিন্দা প্রদীপ হেগড়ে নিজের স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে গিয়েছিলেন কাশ্মীর ভ্রমণে। নিজেদের গোটা ট্রিপে ‘মিনি সুইজ়ারল্যান্ড’ বৈসরনকেও বাদ দেননি তারা। হেগড়ে পরিবার সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-কে জানিয়েছে, বৈসরনে ঘোড়ায় চেপে উঠেছিল তার পরিবার। গোটা পথটাই অত্যন্ত অপূর্ব। কিন্তু উপরেই যে অপেক্ষা করছে বড় বিপদ।

প্রদীপ হেগড়ে জানান, বৈসরনে উঠতেই যখন মুগ্ধ চোখে চারপাশ তাকিয়ে দেখছেন তারা। সেই সময় খিদে পেয়েছে বলে বায়না জুড়ে দেয় তাদের ১২ বছরের সন্তান। ম্যাগি খাবে বলে বারবার আবদার করতে থাকে সে। ফেরার পথে কিছু খেয়ে নেওয়া হবে বলা হলেও কথা শুনতে রাজি হয় না সে। অতঃপর, বাধ্য হয়েই সন্তানের কথা শুনতে রাজি হয়ে যায় হেগড়ে দম্পতি। ঢুকে পড়েন বৈসরন লাগোয়া একটি রেস্তোরাঁয়।

ছেলেকে খাবার কিনে দিয়ে সেই সময় শৌচালয়ে গিয়েছিলেন প্রদীপবাবুর স্ত্রী। সন্তানের নজরদারির জন্য রেখে গিয়েছিলেন বাবাকে। আর তখনই শুরু হয় গুলিবর্ষণ। বৈসরনের মূল দ্বারের দিকে পালিয়ে আসতে শুরু করে অন্য পর্যটকরা। তা নজরে এলেও, ঠিক কী হয়েছে বুঝতে পারেন না প্রদীপ হেগড়ে।

তিনি আরও জানান, ‘কিছুক্ষণ পরেই দূরে দুই বন্দুকধারীকে দেখি। শরীরের মধ্যে যেন একটা হিমস্রোত বয়ে যায়। দেখলাম, একজন উপত্যকার নিচের দিকে চলে যান। অন্যদিকে, আরও একজন ছুটে আসছেন আমাদের দিকে। এই সময় আমার স্ত্রী শৌচালয় থেকে বেরিয়ে রেস্তোরাঁয় রাখা আমাদের ব্যাগটা নিতে গিয়েছিল। তখনই ও টের পায়, ওর কানঘেঁষে কী যেন একটা বেরিয়ে গেল। মাটিতে তাকাতেই দেখে পায়ের কাছে পড়ে গুলি।’

এরপরই তড়িঘড়ি বৈসরন ছাড়ার জন্য মূল দ্বারের দিকে ছুটতে শুরু করেন হেগড়ে পরিবার। সেখানেই তারা দেখতে পায় গাছের পিছনে লুকিয়ে রয়েছে তাদের গাইড। পরে তার সাহায্যে বৈসরন থেকে পালিয়ে আসে গোটা পরিবার, বাঁচে প্রাণ।