মন ভেঙেছে শিন্ডের, ২০ মিনিটেই কীভাবে উপমুখ্যমন্ত্রী হতে রাজি করালেন ফড়ণবীস?
Eknath Shinde-Devendra Fadnavis: এই টানাপোড়েনের মাঝেই একনাথ শিন্ডে তাঁর গ্রামের বাড়ি চলে যান। পরে মুম্বই ফিরেই আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এদিকে, বিজেপির বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে। ঘোষণা করা হয়, মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস।
মুম্বই: দুই সপ্তাহের টানাপোড়েন। বুধবার অবশেষে সামনে এল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর নাম। মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। মহারাষ্ট্রের ফল ঘোষণার পর থেকেই ফড়ণবীসের নাম মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে শোনা যাচ্ছিল, তবে নাম ঘোষণায় এত দেরি কেন? কারণ পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। তাহলে শেষ পর্যন্ত কীভাবে শিন্ডেকে উপমুখ্যমন্ত্রী হতে রাজি করালেন?
মহারাষ্ট্রে মহাযুতির সাফল্যের অন্যতম কারণ হল লড়কি-বেহনা প্রকল্প। মহিলাদের মাসিক ভাতার ফর্মুলা দারুণ হিট মহারাষ্ট্রে, সেই কারণেই এই দারুণ ফল। শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডের দাবি ছিল, এই প্রকল্প তাঁর মস্তিষ্ক প্রসূত। তাই মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদারও তিনি। যদিও বিজেপি এই দাবি মানতে নারাজ। তাঁরাও গোঁ ধরে ছিল এবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীসই।
এই টানাপোড়েনের মাঝেই একনাথ শিন্ডে তাঁর গ্রামের বাড়ি চলে যান। পরে মুম্বই ফিরেই আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এদিকে, বিজেপির বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে। ঘোষণা করা হয়, মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস।
তখনও জল্পনা শোনা যাচ্ছিল যে এই সিদ্ধান্তে খুশি নন একনাথ শিন্ডে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী পদে নাম ঘোষণার পর একনাথ শিন্ডের বাসভবনে দেখা করতে যান ফড়ণবীস। সেখানে ২০ মিনিট ধরে তিনি শিন্ডেকে বোঝান যে মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভায় তাঁকে দরকার। শিন্ডে দোনামনা করলেও, দেবেন্দ্র ফড়ণবীস আশ্বাস দেন যে মন্ত্রিসভার সমান বন্টন করা হবে। স্বরাষ্ট্র, শক্তি সহ গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলি তিন দলের মধ্যে ভাগ করা হবে।
সাক্ষাতের পর বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবীস বলেন, “শিবসেনা ও মহাযুতির সদস্যদের ইচ্ছা একনাথ শিন্ডে আমাদের সঙ্গে সরকারে থাকুক। আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে যে উনি সরকারে যোগ দেবেন।”
সূত্রের খবর, প্রথমে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে কিছুতেই বসতে রাজি হচ্ছিলেন না একনাথ শিন্ডে। কিন্তু বিধায়ক, সাংসদ ও শিবসেনার সদস্যরা ক্রমাগত তাঁর উপরে চাপ দেন এই পদ গ্রহণের জন্য। এরপরই সিদ্ধান্ত বদল করেন শিন্ডে।