Maharashtra political crisis: ‘রাজনৈতিক পরিসরে রাজ্যপালের প্রবেশ উচিত নয়’, স্পিকারের এক্তিয়ার সংক্রান্ত মামলা গেল বৃহত্তর সাংবিধানিক বেঞ্চে
supreme Court: উদ্ধব ঠাকরে শিবির থেকে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে-সহ ১৬ জন বিধায়ক দলত্যাগ করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন লাগু হবে কি না তা নিয়েই মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার শুনানি হয়েছে বৃহস্পতিবার। সেই মামলার শুনানি একাধিক বিষয় উঠে এসেছে দেশের শীর্ষ আদালতে।
নয়াদিল্লি: গত বছর জুন মাসে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতাবদলের টানটান নাটকের সাক্ষী ছিল গোটা দেশ। উদ্ধব ঠাকরে শিবির থেকে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে-সহ ১৬ জন বিধায়ক দলত্যাগ করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন লাগু হবে কি না তা নিয়েই মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার শুনানি হয়েছে বৃহস্পতিবার। সেই মামলার শুনানি একাধিক বিষয় উঠে এসেছে দেশের শীর্ষ আদালতে। দলত্যাগ আইন প্রণনয়ে স্পিকার ভূমিকা, সরকার বদলের সময় গভর্নরের ভূমিকা বিষয় উঠে এসেছে দেশের শীর্ষ আদালতে।
- গত বছর জুন মাসে একের পর এক শিবসেনা বিধায়ক ঠাকরে শিবির ছেড়ে শিণ্ডে শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন। সে সময় আস্থাভোটে যাননি উদ্ধব। তিনি পদত্যাগ করেছিলেন। ঠাকরে যেহেতু আস্থাভোটের আগেই পদত্যাগ করেছিলেন, তাই সেই অবস্থা পুনরুদ্ধার করা সুপ্রিম কোর্টের পক্ষে সম্ভব নয় বলে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে। আদালতের এই বক্তব্যের জেরে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন একনাথ শিণ্ডে।
- মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক ডামাডোলের সময়ে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে দেশের শীর্ষ আদালত। রাজনৈতিক পরিসরে রাজ্যপালের প্রবেশ করা উচিত নয় বলে মত দেশের শীর্ষ আদালতের। সে সময় রাজ্যপাল যথাযথ ভূমিকা পালন করেননি বলেও মত সুপ্রিম কোর্টের। রাজ্যপাল আস্থাভোট ডেকে ভুল করেছিলেন বলেও এ দিন জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
- রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীন বিবাদ মেটাতে আস্থাভোট কোনও মাধ্যম হতে পারে না। বৃহস্পতিবার এ কথা সাফ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
- গত বছর জুন মাসে মহারাষ্ট্র রাজনৈতিক ডামাডোল যখন চরমে তখন শিণ্ডে শিবিরের গোগাওয়ালেকে শিবসেনা দলের প্রধান হুইপ করেছিলেন তৎকালীন স্পিকার। সেই সিন্ধান্ত ভুল ছিল বলে জানালো সুপ্রিম কোর্ট। এ ব্যাপারে দেশের শীর্ষ আদলত জানিয়েছে, রাজনৈতিক দলই হুইপ মনোনীত করতে পারে।
- দলত্যাগ করে অন্য শিবিরে গেলে জনপ্রতিনিধিদের উপর দলত্যাগী আইন প্রণোয়নের বিষয়টি এ দিন উত্থাপিত হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে উঠে আসে ২০১৬ সালে অরুণাচল প্রদেশে ক্ষমতার পালাবদল নিয়ে ‘নাবাম রেবিয়া বনাম ডেপুটি স্পিকার’ মামলার প্রসঙ্গ। স্পিকারের ভূমিকার বিষয়টি নিয়ে লার্ডার বেঞ্চে আলোচনার জন্য পাঠিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।