
হুগলি: ‘জয় বাংলা বনাম জয় শ্রী রাম’ বুধবার পুরশুড়ার কাদামাটি মাখা রাস্তায় এক ‘তৃণমূল সমর্থকের’ সঙ্গে হওয়া শুভেন্দুর ‘বচসা’ উঠল দেশের সংসদে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে সংসদে মুলতুবি প্রস্তাব জমা দিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
এদিন লোকসভায় জমা দেওয়া অভিযোগ পত্রে মহুয়া লিখেছেন, “একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক স্থানীয় বাসিন্দাকে জয় বাংলা স্লোগান তোলার জন্য রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন।”
এই হুঁশিয়ারি শুধুু শুভেন্দুর নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীরও। সংসদে তেমনই অভিযোগ করলেন মহুয়া। বললেন, নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে। তাঁর কথায়, “জয় বাংলা স্লোগান এ রাজ্যের সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক পরিচয়ের সঙ্গে যুক্ত। আর বিরোধী দলনেতার এই আচরণ আসলে কণ্ঠরোধেরই একটা নজির। আর থেকেও আশঙ্কাজনক শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষী বা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সেই ব্যক্তির প্রতি আচরণ। তারা গাড়ি থেকে নেমে রীতিমতো ওই ব্যক্তি ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন।”
এরপরেই শাহের দিকে তোপ দাগেন মহুয়া। তাঁর অভিযোগ, “এই কেন্দ্রীয় বাহিনী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আওতাধীন। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেমন একদিকে মণিপুরের পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ। তেমনই দেশের সীমান্তকেও নিরাপদ রাখতে পারেননি। আর তারই মাঝে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাধারণের প্রতি এমন আচরণেও কোনও পদক্ষেপ দেখাননি। তাই ওনার এই পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত।”
এদিন সংবাদমাধ্যমকে মহুয়া বলেন, ‘পহেলগাঁওয়ে যখন সন্ত্রাস হানা হল, তখন এক ঘণ্টা অবধি কোনও নিরাপত্তারক্ষীকে দেখা গেল না। আর যখন গ্রাম বাংলায় বিরোধী দলনেতা একজন গরিব মানুষকে ব বলছেন, মেরে তার চামড়া গুটিয়ে নেবে, সেই সময় বাহিনী তাতে মদত দিচ্ছে। এটা কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাজ?’