AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mamata Banerjee: নবান্নের কন্ট্রোল রুমে একের পর এক ফোন, হিংসা-ধ্বস্ত মণিপুর থেকে ১৮ শিক্ষার্থীকে ফিরিয়ে ‘স্বস্তি’ মমতার

Bengali students from violence-hit Manipur: সোমবার (৮ মে) হিংসা-ধ্বস্ত মণিপুর রাজ্য থেকে নিরাপদে কলকাতায় ফিরলেন ইম্ফলের 'কলেজ অব এগ্রিকালচার'-এর ১৮ জন বাঙালি শিক্ষার্থী। আটকে পড়ে নবান্নের কন্ট্রোল রুমে যোগযোগ করেছিলেন তারা। এদিন তাদের বিশেষ বিমানে রাজ্যে ফিরিয়ে নিয়ে আসল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার।

Mamata Banerjee: নবান্নের কন্ট্রোল রুমে একের পর এক ফোন, হিংসা-ধ্বস্ত মণিপুর থেকে ১৮ শিক্ষার্থীকে ফিরিয়ে 'স্বস্তি' মমতার
কলকাতায় ফিরে স্বস্তিতে বাঙালি শিক্ষার্থীরা
| Edited By: | Updated on: May 08, 2023 | 3:47 PM
Share

কলকাতা: সোমবার (৮ মে) হিংসা-ধ্বস্ত মণিপুর রাজ্য থেকে নিরাপদে কলকাতায় ফিরলেন ইম্ফলের ‘কলেজ অব এগ্রিকালচার’-এর ১৮ জন বাঙালি শিক্ষার্থী। কলকাতা থেকে পড়াশোনার জন্য তাঁরা মণিপুরে গিয়েছিলেন। গত কয়েকদিনের অশান্তির পরিবেশে তাঁরা ইম্ফলে আটকে পড়েছিলেন। কলকাতায় ফেরার উপায় ছিল না। সোমবার সকালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিশেষ উদ্যোগে তাঁদের কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হল। বাংলার এই ছাত্রছাত্রীরা নিরাপদে রাজ্যে ফিরে আসায় ‘স্বস্তি’ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যে ফেরার জন্য সরকারের সাহায্য চেয়ে নবান্নের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করেছিলেন ওই শিক্ষার্থীরা। তারপরই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ইম্ফলের সেন্ট্রাল এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির ওই বাঙালি ছাত্রছাত্রীদের এক বিশেষ বিমানে কলকাতায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা হল।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, ওই শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি/এমএসসি/পিএইচডি – বিভিন্ন পাঠক্রমে পড়াশোনা করেন। এদিন সকাল ১০টা বেজে ১৫ মিনিটে তাদের বিশেষ বিমান কলকাতায় অবতরণ করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কলকাতা বিমানবন্দরের বিশেষ ডেস্কে তাঁদের গ্রহণ করেন রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা। সরকারের পক্ষ থেকেই বিমানববন্দর থেকে তাদের নিজ নিজ বাসভবনে ফেরার ব্যবস্থা করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে আরও লিখেছেন, “মণিপুরে আটকে পড়া আমাদের অন্যান্য রাজ্যবাসীকে সেখান থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। আমাদের যারা যারা সেখানে আটকে পড়েছেন, তাদের সকলের পাশে আছি।”

নবান্নে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এই কন্ট্রোলরুমের নম্বর ০৩৩ ২২১৪৩৫২৬ / ২২৫৩৫১৮৫। এখনও পর্যন্ত ১৮৫ জন নবান্নের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেছেন, “মণিপুর সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যারা বিমানবন্দরে আসতে পারছেন না, উপদ্রুত এলাকায় আটকে আছেন, তাদের সহায়তার জন্য আমরা মণিপুর সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।”

ইম্ফল থেকে কলকাতায় ফিরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন ওই শিক্ষার্থীরাও। তাঁরা জানিয়েছেন, হিংসায় জ্বলছে মণিপুর। সেখনে একেবারে ঘরবন্দি অবস্থায় দিন কাটছিল তাদের। বাইরের পরিস্থিতি একটাই অগ্নিগর্ভ যে বের হওয়ার উপায় ছিল না। যখন তখন বোমা ফাটছিল। সেই অবস্থায় আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা নিজেদের ঘরে বন্দি করে রেখেছিলেন। মনিপুর সরকার তাদের সাহায্য করেছে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তবে, পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবারের সমস্যা ছিল। সেখান থেকে অবশেষে ঘরে ফিরে আসতে পেরে তারা খুবই খুশি। তবে, পড়াশোনা এখনও বাকি আছে। কোর্স শেষ করতে ফিরতে হবে সেই মনিপুরেই। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, অবস্থা স্বাভাবিক হলে ফের উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে ফিরে যেতে তাদের অসুবিধা নেই।

এদিকে, গত সপ্তাহে মণিপুরে হিংসা ছড়িয়ে পড়তেই, সেই রাজ্য থেকে কলকাতায় ফেরার ধূম লেগেছে। যার ফলে ইম্ফল থেকে কলকাতায় ফেরার বিমান ভাড়া ৬ থেকে ৮ গুণ বেড়ে গিয়েছে। উড়ানের একেকটি টিকিট ২২,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কলকাতা থেকে মণিপুরের মধ্যে উড়ান পরিচালনাকারী সংস্থাগুলি জানিয়েছে, তাদের কোনও বিমানে আর জায়গা নেই। চাহিদা মেটাতে অতিরিক্ত বিমান পরিষেবাও চালু করা হয়েছে। চড়া দামেও উড়ানের টিকিট কাটতে ইম্ফল বিমানবন্দরের বাইরে ভিড় জমে গিয়েছে।