Mamata Banerjee: ল্যাজেগোবরে বিরোধী ঐক্য! সামাল দিতে মুম্বই পাড়ি দিচ্ছেন ‘বিরক্ত’ মমতা

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Nov 25, 2021 | 7:36 AM

Mamata to visit Mumbai: বিরোধী ঐক্যটাই যদি না থাকে? তাহলে? এমন প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠে শুরু করেছে দিল্লির রাজনীতির অন্দর মহলে।

Follow Us

নয়া দিল্লি : বিরোধী ঐক্যে শান দিতে দিল্লিতে উড়ে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। একইসঙ্গে তাঁর আবার নিজের লক্ষ্যও রয়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে হবে তো! তাহলেই তো বিরোধী ঐক্যের মুখ হিসেবে উঠে আসবেন তিনি। কিন্তু সেই বিরোধী ঐক্যটাই যদি না থাকে? তাহলে? এমন প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে দিল্লির রাজনীতির অন্দর মহলে। আর সেই গুঞ্জন নিশ্চয়ই মমতার কান পর্যন্তও পৌঁছে গিয়েছে। আর তাই বিরোধী ঐক্যে যে কোনও ফাটল নেই, তা প্রমাণ করার মরিয়া চেষ্টা।

সামনেই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। হাতে আর মাস খানেক বাকি। সামনের বছরের শুরুর দিকেই ভোট রয়েছে যোগী রাজ্যে। আর সেখানে বিরোধীদের সমীকরণটা বেশ জটিল। অখিলেশের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে, কারও সঙ্গে জোট নয়। প্রিয়ঙ্কার নেতৃত্বে তারা নাকি একাই একশো। ফলে, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পাশাপাশি, কংগ্রেসকে সেখানে লড়তে হবে অখিলেশের সমাজবাদী পার্টির সঙ্গেও। আর ঠিক এমনই একটা পরিস্থিতিতে আজ মমতা একেবারে স্বমহিমায় জানিয়ে দিলেন, উত্তর প্রদেশের ভোটে যদি অখিলেশের কোনও সাহায্য় লাগে, তাহলে সেই সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দিতে তৈরি তৃণমূল। রাজনীতির সমীকরণ সবসময় দুইয়ে দুইয়ে চার হয় না। কিন্তু আপাতভাবে দেখে যা মনে হচ্ছে, কংগ্রেসের থেকে অন্য (আঞ্চলিক) বিরোধী দলগুলিকেই বেশি পছন্দ করছেন মমতা।

এতদিন পর্যন্ত মমতার দিল্লি যাওয়া মানেই, কিছু চেনা ছবি প্রত্যেকবারই দেখা যেত। সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে অন্তত একবার দেখা করা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের সঙ্গেও অত্য়ন্ত সৌজন্য বিনিময়টুকু হত। কিন্তু এবার সে সবের কিছুই হচ্ছে না। উল্টে সোনিয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করায় একটু চটেই গেলেন মমতা। পরে অবশ্য ড্যামেজ কন্ট্রোলে বললেন, সোনিয়া পঞ্জাবের ভোটে ব্যস্ত, তাই তাঁর সঙ্গে দেখা করা হচ্ছে না। আর কেজরিওয়াল? তার সঙ্গেও কি সম্পর্ক কিছুটা শীতল হচ্ছে মমতার? প্রশ্নটা উঠছে, কারণ সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। তৃণমূলের মতো আম আদমি পার্টিও এখন দিল্লির গণ্ডি পেরিয়ে নিজেদের সম্প্রসারণে ব্যস্ত। পঞ্জাবে লড়ছে। উত্তরাখণ্ডে লড়ছে। গোয়াতেও লড়ছে। প্রথম দুই ক্ষেত্রে তৃণমূলের সঙ্গে সরাসরি সংঘাত না হলেও, যত কাণ্ড গোয়াতে। সেখান আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়বেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে কি সেই কারণেই, এখন মুখ দেখাদেখি বন্ধ কেজরি আর মমতার?

এমনই একগুচ্ছ প্রশ্ন যখন উঠতে শুরু করেছে, তখন মমতা জানিয়ে দিলেন তিনি মুম্বই যাচ্ছেন। ৩০ নভেম্বর মুম্বই যাবেন মমতা। সেখানে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করবেন মমতা। দেখা হতে পারে উদ্ধব ঠাকরেদের সঙ্গেও। উল্লেখ্য, প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই একের অন্যের বিরুদ্ধে লড়ছে বিরোধীরা। এ বলে আমায় দেখ, তো সে বলে আমায় দেখ। একমাত্র মহারাষ্ট্রেই শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট ঠিকঠাক রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুম্বই যাত্রায় কংগ্রেসের বন্ধুদের কি কাছে টানতে পারবেন মমতা?

আর যদি কাছে টানতে পারেনও, তাহলেও কি কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে কোনও বিরোধী জোট সম্ভব? সেক্ষেত্রে বাকি আঞ্চলিক দলগুলিকে কি পাশে পাবেন মমতা? আবার কংগ্রেস বিরোধী ঐক্যে থাকলে, কেজরিওয়াল অথবা অখিলেশ কি তা মেনে নেবেন? এমনই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসছে। আর সেই সঙ্গে ঘন কালো মেঘ ভিড় জমাচ্ছে বিরোধী ঐক্যের আকাশে।

আরও পড়ুন : Mamata Banerjee: প্রধানমন্ত্রীর দফতরে গিয়ে ত্রিপুরা হিংসার নালিশ! পৌরভোটের আগের সন্ধেয় মমতার ‘সায়নী-তাস’

দেখুন ভিডিয়ো :

নয়া দিল্লি : বিরোধী ঐক্যে শান দিতে দিল্লিতে উড়ে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। একইসঙ্গে তাঁর আবার নিজের লক্ষ্যও রয়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে হবে তো! তাহলেই তো বিরোধী ঐক্যের মুখ হিসেবে উঠে আসবেন তিনি। কিন্তু সেই বিরোধী ঐক্যটাই যদি না থাকে? তাহলে? এমন প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে দিল্লির রাজনীতির অন্দর মহলে। আর সেই গুঞ্জন নিশ্চয়ই মমতার কান পর্যন্তও পৌঁছে গিয়েছে। আর তাই বিরোধী ঐক্যে যে কোনও ফাটল নেই, তা প্রমাণ করার মরিয়া চেষ্টা।

সামনেই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। হাতে আর মাস খানেক বাকি। সামনের বছরের শুরুর দিকেই ভোট রয়েছে যোগী রাজ্যে। আর সেখানে বিরোধীদের সমীকরণটা বেশ জটিল। অখিলেশের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে, কারও সঙ্গে জোট নয়। প্রিয়ঙ্কার নেতৃত্বে তারা নাকি একাই একশো। ফলে, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পাশাপাশি, কংগ্রেসকে সেখানে লড়তে হবে অখিলেশের সমাজবাদী পার্টির সঙ্গেও। আর ঠিক এমনই একটা পরিস্থিতিতে আজ মমতা একেবারে স্বমহিমায় জানিয়ে দিলেন, উত্তর প্রদেশের ভোটে যদি অখিলেশের কোনও সাহায্য় লাগে, তাহলে সেই সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দিতে তৈরি তৃণমূল। রাজনীতির সমীকরণ সবসময় দুইয়ে দুইয়ে চার হয় না। কিন্তু আপাতভাবে দেখে যা মনে হচ্ছে, কংগ্রেসের থেকে অন্য (আঞ্চলিক) বিরোধী দলগুলিকেই বেশি পছন্দ করছেন মমতা।

এতদিন পর্যন্ত মমতার দিল্লি যাওয়া মানেই, কিছু চেনা ছবি প্রত্যেকবারই দেখা যেত। সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে অন্তত একবার দেখা করা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের সঙ্গেও অত্য়ন্ত সৌজন্য বিনিময়টুকু হত। কিন্তু এবার সে সবের কিছুই হচ্ছে না। উল্টে সোনিয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করায় একটু চটেই গেলেন মমতা। পরে অবশ্য ড্যামেজ কন্ট্রোলে বললেন, সোনিয়া পঞ্জাবের ভোটে ব্যস্ত, তাই তাঁর সঙ্গে দেখা করা হচ্ছে না। আর কেজরিওয়াল? তার সঙ্গেও কি সম্পর্ক কিছুটা শীতল হচ্ছে মমতার? প্রশ্নটা উঠছে, কারণ সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। তৃণমূলের মতো আম আদমি পার্টিও এখন দিল্লির গণ্ডি পেরিয়ে নিজেদের সম্প্রসারণে ব্যস্ত। পঞ্জাবে লড়ছে। উত্তরাখণ্ডে লড়ছে। গোয়াতেও লড়ছে। প্রথম দুই ক্ষেত্রে তৃণমূলের সঙ্গে সরাসরি সংঘাত না হলেও, যত কাণ্ড গোয়াতে। সেখান আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়বেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে কি সেই কারণেই, এখন মুখ দেখাদেখি বন্ধ কেজরি আর মমতার?

এমনই একগুচ্ছ প্রশ্ন যখন উঠতে শুরু করেছে, তখন মমতা জানিয়ে দিলেন তিনি মুম্বই যাচ্ছেন। ৩০ নভেম্বর মুম্বই যাবেন মমতা। সেখানে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করবেন মমতা। দেখা হতে পারে উদ্ধব ঠাকরেদের সঙ্গেও। উল্লেখ্য, প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই একের অন্যের বিরুদ্ধে লড়ছে বিরোধীরা। এ বলে আমায় দেখ, তো সে বলে আমায় দেখ। একমাত্র মহারাষ্ট্রেই শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট ঠিকঠাক রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুম্বই যাত্রায় কংগ্রেসের বন্ধুদের কি কাছে টানতে পারবেন মমতা?

আর যদি কাছে টানতে পারেনও, তাহলেও কি কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে কোনও বিরোধী জোট সম্ভব? সেক্ষেত্রে বাকি আঞ্চলিক দলগুলিকে কি পাশে পাবেন মমতা? আবার কংগ্রেস বিরোধী ঐক্যে থাকলে, কেজরিওয়াল অথবা অখিলেশ কি তা মেনে নেবেন? এমনই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসছে। আর সেই সঙ্গে ঘন কালো মেঘ ভিড় জমাচ্ছে বিরোধী ঐক্যের আকাশে।

আরও পড়ুন : Mamata Banerjee: প্রধানমন্ত্রীর দফতরে গিয়ে ত্রিপুরা হিংসার নালিশ! পৌরভোটের আগের সন্ধেয় মমতার ‘সায়নী-তাস’

দেখুন ভিডিয়ো :

Next Article