AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Man killed sons: ২ শিশুকে বালতির জলে ডুবিয়ে খুন করে আত্মঘাতী বাবা, কারণ জেনে থ পুলিশ

Man killed sons: পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার হোলি উপলক্ষ্যে চন্দ্রকিশোরের অফিসে একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে স্ত্রী ও দুই পুত্রকে নিয়ে যান তিনি। কিছুক্ষণ পর স্ত্রীকে জানান, ছেলেদের স্কুলের পোশাকের জন্য দর্জির দোকানে তাদের নিয়ে যাচ্ছেন। ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে ফিরে আসবেন। অনেকক্ষণ কেটে গেলেও ফিরে আসেননি চন্দ্রকিশোর।

Man killed sons: ২ শিশুকে বালতির জলে ডুবিয়ে খুন করে আত্মঘাতী বাবা, কারণ জেনে থ পুলিশ
প্রতীকী ছবিImage Credit: TV9 Bangla
| Updated on: Mar 15, 2025 | 4:51 PM
Share

কাকিনাডা: একজনের বয়স সাত। অন্যজনের ছয়। প্রতিযোগিতার এই দুনিয়ায় তারা নাকি চাপ নিতে পারবে না। তাদের নাকি মেধা কম। এই আশঙ্কায় দুই পুত্রকে বালতির জলে ডুবিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। দুই সন্তানকে খুনের পর নিজেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাডার সুব্বারাও নগরে।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম ওয়ানাপল্লি চন্দ্রকিশোর। আর মৃত দুই শিশুর নাম জোশিল (৭) এবং নিখিল (৬)। চন্দ্রকিশোর একটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট ছিলেন। তাঁর বড় ছেলে জোশিল ক্লাস ওয়ানে পড়ত। আর ছোট ছেলে নিখিল ইউকেজি-তে পড়ত। ছেলেদের পড়াশোনা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন চন্দ্রকিশোর। সম্প্রতি দুই ছেলের স্কুলও বদল করেন তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার হোলি উপলক্ষ্যে চন্দ্রকিশোরের অফিসে একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে স্ত্রী ও দুই পুত্রকে নিয়ে যান তিনি। কিছুক্ষণ পর স্ত্রীকে জানান, ছেলেদের স্কুলের পোশাকের জন্য দর্জির দোকানে তাদের নিয়ে যাচ্ছেন। ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে ফিরে আসবেন। অনেকক্ষণ কেটে গেলেও ফিরে আসেননি চন্দ্রকিশোর। তখন তাঁর স্ত্রী তনুজা তাঁকে ফোন করেন। কিন্তু, কোনও উত্তর পাননি। চন্দ্রকিশোরের এক সহকর্মীকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তনুজা।

বাড়ি ফিরে জানালা দিয়ে তনুজা দেখেন, গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন চন্দ্রকিশোর। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তাঁরা দেখেন, দুই শিশুর নিথর দেহ বালতির জলে পড়ে। তাদের হাত-পা বাঁধা রয়েছে। স্বামী-সন্তানদের মৃত দেখে জ্ঞান হারান তনুজা।

পুলিশ জানিয়েছে, একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। যেখানে চন্দ্রকিশোর লিখে গিয়েছেন, প্রতিযোগিতার এই বিশ্বে তাঁর ছেলেরা পেরে উঠছে না। ছেলেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।