Murder Case: সোনার কয়েনের লোভ দেখিয়ে প্রেমিকাকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়েছিল, ৩৫ কোপে নাড়িভুড়ি ছিন্নভিন্ন করল যুবক

Maharashtra Murder: সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই যুবতীর সম্পর্কে পোস্ট করা হলে, সেখান থেকেই পুলিশ জানতে পারে পুণের এক ৩২ বছর বয়সী এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে যুবতী বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল।

Murder Case: সোনার কয়েনের লোভ দেখিয়ে প্রেমিকাকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়েছিল, ৩৫ কোপে নাড়িভুড়ি ছিন্নভিন্ন করল যুবক
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 06, 2023 | 11:50 AM

মুম্বই: দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক, গত বছরের শেষভাগ থেকেই বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করেছিল প্রেমিকা। কিন্তু প্রেমিকও নাছোড়বান্দা, বারবার নানা বাহানা দিয়ে ঘুরিয়ে দিত বিয়ের কথা। সম্প্রতিই প্রেমিকার বাড়ি থেকেও চাপ দিতে শুরু করাতেই বুঝেছিলেন, আর পাল্লা ছাড়ানো যাবে না। এরপরই প্রেমিকাকে পথ থেকে সরাতে শুরু করলেন পরিকল্পনা, সাহায্য নিলেন বন্ধুরও। সোনার লোভ দেখিয়ে প্রেমিকাকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন (Murder) করলেন। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) থানে জেলায়। বৃহস্পতিবার পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এক যুবতীকে খুনের অভিযোগে এক যুবক ও তাঁর বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেরায় জানা গিয়েছে, গত ২৭ ডিসেম্বর ওই যুবতীকে খুন করে যুবক। থানে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গত ২৭ ডিসেম্বর থানের কল্যাণ এলাকার গোভেলির জঙ্গলে এক যুবতীর দেহ উদ্ধার করা হয়। ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় তাঁর শরীর উদ্ধার করা হয়। পেটে ৩৫টি কোপানোর চিহ্ন ছিল।

ঘটনাস্থলের পাশেই আধার কার্ড পাওয়া যায়। ওই আধার কার্ড দেখেই জানা যায়, ওই যুবতীর নাম রুপালি জে (২৭)। তাঁর বাড়ি বীড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই যুবতীর সম্পর্কে পোস্ট করা হলে, সেখান থেকেই পুলিশ জানতে পারে পুণের এক ৩২ বছর বয়সী এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে যুবতী বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু অভিযুক্ত যুবকই নানা বাহানা দিয়ে কাটিয়ে দিচ্ছিল।

জেরায় জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে রুপালিকে খুন করার পরিকল্পনা করে। ২৭ ডিসেম্বর রুপালিকে ফোন করে বলেন যে গোভেলির জঙ্গলে সোনার কয়েন খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। রুপালিও যেন এসে মাটি খুঁড়তে তাঁদের সাহায্য করে। ওই যুবতী ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই তাঁকে জঙ্গলের ভিতরে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা এবং সেখানে ৩৫ কোপ মেরে পেটের নাড়িভুড়ি ছিন্নভিন্ন করে দেয়। এরপরে জঙ্গলেই তাঁর দেহ ফেলে রেখে পালিয়ে আসে অভিযুক্তরা। পরে পুলিশ জঙ্গল থেকে দেহ উদ্ধার করলে, প্রযুক্তিগত সাহায্য নিয়ে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।