Manish Sisodia Bail: চার শর্তে জামিন সিসোদিয়াকে, ইডি-সিবিআই নিম্ন আদালতকে সুপ্রিম তুলোধনা

Manish Sisodia Bail: ১৭ মাসেও যখন তাঁর বিচার শুরু করা যায়নি, তখন ভবিষ্যতেও তা করা যাবে কিনা, সেই বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে আদালত। আদালত আরও বলেছে, জামিন পাওয়া অভিযুক্তর অধিকার, জেল ব্যতিক্রম। রায় দেওয়ার সময়, এই বিষয়টি নিম্ন আদালত বা উচ্চ আদালত মাথায় রাখেনি বলে জানান বিচারপতি গাভাই।

Manish Sisodia Bail: চার শর্তে জামিন সিসোদিয়াকে, ইডি-সিবিআই নিম্ন আদালতকে সুপ্রিম তুলোধনা
১৮ মাস পর ছাড়া পেলেন মণীশ সিসোদিয়া Image Credit source: ANI
Follow Us:
| Updated on: Aug 09, 2024 | 2:12 PM

নয়া দিল্লি: চারটি শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন মণীশ সিসোদিয়া। প্রায় ১৮ মাস আগে, দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করেছিল সিবিআই৷ তারপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও। তবে, শুক্রবার তাঁকে এই দুই ক্ষেত্রেই জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তাই নয়, বিনা বিচারে তাঁকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারাগারে বন্দি রাখার প্রেক্ষিতে বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ বলেছে, বিনা বিচারে তাঁকে “সীমাহীন সময়ের জন্য” কারাগারে বন্দি রাখা তাঁর মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। ১৭ মাসেও যখন তাঁর বিচার শুরু করা যায়নি, তখন ভবিষ্যতেও তা করা যাবে কিনা, সেই বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে আদালত। আদালত আরও বলেছে, জামিন পাওয়া অভিযুক্তর অধিকার, জেল ব্যতিক্রম। রায় দেওয়ার সময়, এই বিষয়টি নিম্ন আদালত বা উচ্চ আদালত মাথায় রাখেনি বলে জানান বিচারপতি গাভাই।

তবে মণীশ সিসোদিয়াকে জামিন দেওয়া হয়েছে চারটি শর্তের প্রেক্ষিতে। প্রথম শর্ত, দুই ক্ষেত্রে জামিনের জন্য ১০ লক্ষ টাকার বন্ড দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, তার পাসপোর্ট থানায় জমা রাখতে হবে। সপ্তাহে সোমবার এবং বৃহস্পতিবার তাঁকে তদন্তকারী অফিসারের কাছে রিপোর্ট করতে হবে। চতুর্থত, সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা বা প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা থেকে বিরত থাকতে হবে। অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল আবেদন করেছিলেন, দিল্লি সচিবালয় এবং মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে সিসোদিয়ার যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করুক আদালত। কারণ সেখানে গিয়ে তিনি তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করতে পারেন। তবে, এই আবেদনে গুরুত্ব দেয়নি আদালত। আদালত বলে, অধিকাংশ তথ্য প্রমাণই ইডি, সিবিআই-এর হেফাজতে রয়েছে।

বিচারপতি গাভাই বলেন, “১৮ মাসের ধরে তিনি বন্দি আছেন, বিচার শুরুও হয়নি। আবেদনকারীকে দ্রুত বিচারের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আবেদনকারীকে সীমাহীন সময়ের জন্য কারাগারে আটকে রাখা তাঁর মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। আবেদনকারীর সমাজের এক বিশিষ্ট ব্যক্তি। তাঁর পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। তাঁর উপর শর্ত আরোপ করা যেতে পারে। ট্রায়াল কোর্ট এবং হাইকোর্টের এটাকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল। আদালত ভুলে গিয়েছে যে শাস্তি হিসাবে জামিন আটকে রাখা উচিত নয়। জামিন দেওয়াই হল নিয়ম এবং জেলে আটকে রাখা ব্যতিক্রম। অভিযুক্তকে শাস্তি হিসেবে তার জামিনেরস আবেদন খারিজ করা যাবে না।”