
নয়া দিল্লি: দিল্লি বিস্ফোরণের পর থেকেই শিরোনামে উঠে আসে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম। আল ফলাহ ইউনিভার্সিটি। রয়েছে ডাক্তারি পড়ার ব্যবস্থা। রিসার্চ করার সুযোগও রয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে অনেক ছাত্র-ছাত্রী প্রতি বছর ভর্তি হন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠানের অন্দরে যে গোপনে চলে মগজধোলাই থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ, সেই খবর ছিল না অনেকের কাছেই। গত কয়েকদিনে যা সামনে এসেছে, তাতে আর কোনও ঝুঁকি নিতে পারছে না পড়ুয়ারদের অভিভাবকেরা। শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ার হিড়িক।
আল ফল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একে একে ডাক্তারি পড়ুয়ারা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। গত দুই দিনে প্রায় ৪৫ জন ডাক্তারি পড়ুয়া ও অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছেন বলে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনেকেই টিসি চেয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে অনেক চিকিৎসক পড়ুয়ার পরিজনরা গিয়ে বাড়ির সন্তানদের নিয়ে চলে যান। মূলত এই বিশ্ববিদ্যালয় আগামিদিনে আদৌ থাকবে কি না, সেটা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন ওই পড়ুয়াদের পরিজনরা।
আদিল, মুজাম্মিল ও শাহিন নামে তিন চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগ ছিল। শুধু তাই নয়, উমর নবি নামে যে চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে দিল্লি বিস্ফোরণে, সেই উমরও ছিলেন চিকিৎসক। গোয়েন্দারা তদন্তে জানতে পেরেছেন, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘরে বসেই করা হত বৈঠক।
ওই চিকিৎসকদের কাছে কোথা থেকে টাকা আসত, কারা টাকা পাঠাত, তা নিয়েও চলছে তদন্ত। সন্ধান করতে মঙ্গলবার আল ফলাহকে তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। মডিউলের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা জাওয়াদ আহমেদ সিদ্দিকিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। দীর্ঘ তল্লাশির পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।