Mumbai Fire: পুড়ে ছাই ১৯ তলা, ২ ঘণ্টার চেষ্টায় নিভল বিধ্বংসী আগুন, বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু নিরাপত্তারক্ষীর

Mumbai Fire: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গোটা এলাকাটিই কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ১৭ থেকে  ২৫ তলা অবধি আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।

Mumbai Fire: পুড়ে ছাই ১৯ তলা, ২ ঘণ্টার চেষ্টায় নিভল বিধ্বংসী আগুন, বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু নিরাপত্তারক্ষীর
এভাবেই হাত ফস্কে পড়ে যান অরুণ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 22, 2021 | 2:46 PM

মুম্বই: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড বাণিজ্যনগরীতে। দক্ষিণ মুম্বইয়ের (South Mumbai) লোয়ার পারোলের লালবাগ এলাকায় একটি বহুতলে এ দিন সকালে আগুন (Fire) লাগে। অভিজ্ঞা পার্ক সোসাইটির ওই বহুতলটি ৬০ তলার। সেখানেরই ১৯ তলা থেকে আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ২০টি ইঞ্জিন। বহুতলে বেশ কয়েকজন বাসিন্দার আটকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। দমকল বাহিনী আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। শেষ খবর অনুযায়ী, বর্তমানে আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে, কুলিংয়ের কাজ চলছে।

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গোটা এলাকাটিই কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। জানা গিয়েছে, ১৭ থেকে  ২৫ তলা অবধি আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দমকলের ২০টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলে পৌছেছেন মুম্বইয়ের মেয়র কিশোরী পেডনেকর। তিনি বলেন, “আগুন লাগার খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই দমকল বাহিনী ও উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আবাসনের বহু বাসিন্দাদের উদ্ধার করা হয়েছে। একজন আতঙ্কে ঝাঁপ দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। দয়া করে কেউ আতঙ্ক বা ভুয়ো খবর ছড়াবেন না।”

দক্ষিণ মুম্বইয়ের এই অঞ্চলটি জনবহুল। একাধিক বড় বড় আবাসন ও দোকান রয়েছে। এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ আচমকাই কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায় ৬০ তলা ওই আবাসন থেকে। কিছুক্ষণ পরই দেখা যায় দাউদাউ করে জ্বলছে আবাসনের ১৯ তলা। আগুন উপর ও নীচের তলগুলিতেও ছড়িয়ে পড়ছে।

এ দিকে, প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে এক বাসিন্দার পড়ে যাওয়ার দৃশ্যও ধরা পড়েছে। আগুনের হাত থেকে বাঁচতেই ওই ব্যক্তি বারান্দা টপকে নীচে নামার চেষ্টা  করছিলেন, কিন্তু হাত ফসকে পড়ে যান তিনি। দমকল বিভাগের কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে কেইএম হাসপাতাসলে নিয়ে যায়। তবে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম অরুণ তিওয়ারি (৩০)। ১৯ তলাতেই থাকতেন তিনি। আগুন থেকে বাঁচার চেষ্টা করতেই তিনি পড়ে যান।

পরে জানা যায়, ওই ব্যক্তি আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। আগুন দেখতে পেয়েই তিনি বাসিন্দাদের সতর্ক করতে ১৯ তলায় যান। কিন্তু দুর্ভাগ্য়বশত সেখানেই আটকে পড়েন। প্রাণ বাঁচাতে বারান্দার একটি কোণা ধরে ঝুলছিলেন তিনি, কিন্তু হাত ফসকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়।

বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের জেরে কারি রোডের রাস্তাটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে গোটা এলাকা। বিপত্তির আশঙ্কায় ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে আশেপাশের বাড়ি ও দোকান। বিএমসির প্রধান ইকবাল সিং চাহাল বলেন, “১১টা ৫৫ মিনিট নাগাদ আগুনের খবর মিলতেই আধিকারিকরা ঘটনাস্খলে পৌঁছন। ততক্ষণে আগুন ২০ তলা অবধি পৌঁছে গিয়েছে। বর্তমানে আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে, কুলিংয়ের কাজ চলছে। ফের যাতে আগুন না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে কয়েকজন দমকলকর্মী ঘটনাস্থলেই থাকছেন আপাতত। আবাসনের অধিকাংশ বাসিন্দাদেরই নিরাপদভাবে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে।”

আবাসনের বাসিন্দাদের দাবি, আগুন নেভানোর যাবতীয় ব্যবস্থাই করা ছিল। তবে কীভাবে আগুন লাগল এবং তা এতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করল, তা বোঝা যাচ্ছে না। দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে মনে করা হচ্ছে।