MEA Statement on Indian Student’s Hostage Situation: ‘পণবন্দি করা হয়নি কোনও পড়ুয়াকেই’, রাশিয়ার দাবি ওড়াল বিদেশমন্ত্রক
MEA Statement on Indian Student's Hostage Situation: এদিন সকালেই বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী টুইট করে বলেন, "আমাদের কাছে ইউক্রেনে ভারতীয় পড়ুয়াদের পণবন্দি হয়ে থাকার কোনও খবর নেই।"

নয়া দিল্লি: যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝেই ইউক্রেন (Ukraine) থেকে জোরকদমে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে ভারত সরকার (Indian Government)। আগামী ৮ মার্চের মধ্যে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে মোট ৪৬টি বিশেষ বিমানে ভারতীয়দের ফেরত আনা হবে। তবে এরইমাঝে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল রুশ প্রশাসনের দাবিতে। বুধবারই রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে, খারকিভে একদল ভারতীয় পড়ুয়াকে বন্দি করে রেখেছে ইউক্রেনীয় সেনা। তবে এদিন সকালে ভারত সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল যে, ভারতীয় পড়ুয়াদের পণবন্দি (Hostage) করে রাখার কোনও খবর মেলেনি। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে এখনও আটকে থাকা ভারতীয়দের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
এদিন সকালেই বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী টুইট করে বলেন, “আমাদের কাছে ইউক্রেনে ভারতীয় পড়ুয়াদের পণবন্দি হয়ে থাকার কোনও খবর নেই। খারকিভ ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করে দেশের পশ্চিম অংশে পাঠানোর জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়েছে ইউক্রেনীয় প্রশাসনকে।”
Our response to media queries regarding reports of Indian students being held hostage in Ukraine ⬇️https://t.co/RaOFcV849D pic.twitter.com/fOlz5XsQsc
— Arindam Bagchi (@MEAIndia) March 3, 2022
গতকালই রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র বলেন, “আমাদের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনীয় প্রশাসন জোর করে একদল ভারতীয় পড়ুয়াকে খারকিভে আটকে রেখেছে। ওই পড়ুয়ারা ইউক্রেনের সীমান্ত পার করে বেলগার্ডে যাওয়ার চেষ্টা করছিল, কিন্তু তাদের জোর করে বন্দি বানিয়ে রাখা হয়েছে। রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী ভারতীয় নাগরিকদের সুরক্ষিতভাবে উদ্ধারকার্যে সবরকমের সাহায্যের জন্য প্রস্তুত এবং তাদের উদ্ধার করে রাশিয়ার সীমান্ত দিয়ে ভারতের সামরিক বা উদ্ধারকারী বিশেষ বিমানে করে দেশে পাঠাতেও আগ্রহী। ”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গতকালই ইউক্রেনে, বিশেষ করে খারকিভে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিরাপদভাবে উদ্ধারকার্যের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তাদের বার্তালাপের কিছুক্ষণ পরই রুশ সামরিক বাহিনীর এই দাবি শুনেই আতঙ্ক ছড়ায়।
অন্যদিকে, খারকিভের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশের পরই রুশ সেনা ভারতীয় ছাত্রীদের জন্য সেফ প্যাসেজের ব্যবস্থা করে এবং তাদের ইউক্রেনের পশ্চিম সীমান্তে পৌঁছনোর জন্য ট্রেনেও তুলে দেয়। খারকিভে যে সমস্ত ছাত্ররা আটকে রয়েছে, তাদের জন্য একই ব্য়বস্থা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের সূত্রে।
আরও পড়ুন: Russia Captures Kherson city: ভোররাতেই খেরসন দখল নিল রুশ বাহিনী, কিয়েভ দখলও কি সময় অপেক্ষা?