Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

হাত ধরেছিল প্রেমিক, মুরগি কাটার ছুরি সোজা গেঁথে দিয়েছিল স্বামীর বুকে, টুকরো করা দেহের সঙ্গেই রাত কাটিয়েছিল মুসকান! আর যা যা জানল পুলিশ, গায়ে কাঁটা দিতে বাধ্য

Crime: মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ বাড়ি ফেরার পর স্ত্রী মুসকান তাঁর জন্য নানা পদ রান্না করেছিল। কিন্তু সৌরভ জানত না যে তাঁর মধ্যে ঘুমের ওষুধ মেশানো আছে। খাবার খেয়ে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ঘুমিয়ে পড়ে সৌরভ। সেই সময় মুসকান ফোন করে প্রেমিক সাহিলকে ডেকে নেয়। এবার শুরু হয় নির্মমতার পর্ব।

হাত ধরেছিল প্রেমিক, মুরগি কাটার ছুরি সোজা গেঁথে দিয়েছিল স্বামীর বুকে, টুকরো করা দেহের সঙ্গেই রাত কাটিয়েছিল মুসকান! আর যা যা জানল পুলিশ, গায়ে কাঁটা দিতে বাধ্য
অভিযুক্ত মুসকান ও সাহিল। ডানদিকে নিহত সৌরভ।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Mar 21, 2025 | 7:39 AM

লখনউ: মেয়ের জন্মদিনে আসাই কাল হয়েছিল। স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিকের হাতে নৃশংসভাবে খুন হতে হয়েছে মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুত (২৯)-কে। খুনের পর স্ত্রী ও প্রেমিক মিলে ১৫ টুকরো করেছিল সৌরভকে। তাঁর দেহের টুকরো ড্রামে ভরে সিমেন্ট দিয়ে সিল করে দেয় দুজনে। এবার তদন্তে আরও ভয়ঙ্কর তথ্য জানতে পারল পুলিশ।

উত্তর প্রদেশের মিরাটের বাসিন্দা সৌরভ কর্মসূত্রে লন্ডনে থাকত। ৬ বছরের মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষেই সে বাড়ি ফিরেছিল, আর তারপরই এই পরিণতি। জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত মুসকান (সৌরভের স্ত্রী) ও তাঁর প্রেমিক সাহিলের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। এর আগেও একবার সৌরভ তাদের হাতেনাতে ধরেছিল। ঝামেলা-অশান্তি ডিভোর্স পর্যন্ত গড়িয়েছিল। কিন্তু মেয়ের মুখ চেয়েই সম্পর্ক টিকিয়ে রেখেছিল সৌরভ। মুসকানও তখন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সে শুধরে যাবে।

সৌরভ লন্ডনে যেতেই তাদের মধ্যে ফের ঘনিষ্ঠতা, শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মুসকান ও সাহিল গত বছর নভেম্বর মাসেই সৌরভকে খুন করার প্ল্যান করেছিল। গত ফেব্রুয়ারি মাসেও তারা সৌরভকে মারার চেষ্টা করে। তখন ব্যর্থ হয়। এবার দেশে ফিরতেই আর রক্ষা পাননি সৌরভ।

কীভাব খুন করা হয়েছিল সৌরভকে?

মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ বাড়ি ফেরার পর স্ত্রী মুসকান তাঁর জন্য নানা পদ রান্না করেছিল। কিন্তু সৌরভ জানত না যে তাঁর মধ্যে ঘুমের ওষুধ মেশানো আছে। খাবার খেয়ে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ঘুমিয়ে পড়ে সৌরভ। সেই সময় মুসকান ফোন করে প্রেমিক সাহিলকে ডেকে নেয়। এবার শুরু হয় নির্মমতার পর্ব।

প্রথমে সৌরভকে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়। মুসকানের হাত কাঁপছিল ভয়ে, সাহিল তাই হাত ধরেছিল। মুরগি কাটার ছুরি দিয়ে সোজা সৌরভের বুকে বসিয়ে দেয় সাহিল। এরপর ওরা সৌরভের গলার নলি ও হাতের শিরা কেটে দেয়। এখানেও থামেনি। তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে।

সারা রাত মৃতদেহের সঙ্গেই ওভাবে ছিল মুসকান ও তাঁর প্রেমিক। পরেরদিন সকালে সাহিল সৌরভের কাটা মুণ্ড নিয়ে বাড়ির বাইরে চলে যায়। বাকি কাটা অংশগুলি ড্রামে রেখে তার উপরে গোলা সিমেন্ট ঢেলে দেয় অভিযুক্তরা। সিমেন্টে জমানো স্বামীর মৃতদেহ ঘরের ভিতরে রেখেই  মানালি, কাসোল ও সিমলা ঘুরতে গিয়েছিল যুগল। তাদের মেয়েকে ঠাকুমার কাছে পাাঠিয়ে দিয়েছিল আগেভাগেই।