Black Blanket Baba: কালো কম্বল বাবার ‘অলৌকিক ক্ষমতা’, হাত দিয়েই সারিয়ে দেন যাবতীয় রোগ!

গুজরাতের বাসিন্দা কালো কম্বল বাবা রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ সহ বিভিন্ন ক্যাম্প করেন। তাঁর অলৌকিক ক্ষমতার প্রত্যক্ষ করতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান সেই সব সভায়।

Black Blanket Baba: কালো কম্বল বাবার ‘অলৌকিক ক্ষমতা’, হাত দিয়েই সারিয়ে দেন যাবতীয় রোগ!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 29, 2023 | 5:39 PM

আহমেদাবাদ: নাম গণেশ ভাই গুরজার। কিন্তু তিনি জনপ্রিয় ব্ল্যাক ব্ল্যাঙ্কেট বাবা হিসাবে। এই কালো কম্বল বাবা দাবি করেন, রোগ সারাতে কোনও মেডিক্যাল সায়েন্সের শরণাপন্ন হওয়ার দরকার নেই। তাঁর বিশেষ ট্রিটমেন্ট নিলেই সমস্ত রোগ থেকে মুক্তি মিলবে। তাঁর গায়ে থাকা কালো কম্বলের বিশেষ ক্ষমতার জেরেই তিনি সারিয়ে ফেলতে পারেন সমস্ত রোগ। কালো কম্বল বাবার অনেক ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই সব ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, নিজের হাতে, বা কম্বলে বসিয়ে বিভিন্ন লোকেদের রোগ থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করছেন কালো কম্বল বাবা। আদতে গুজরাতে বাসিন্দা গুরজার। কিন্তু উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ক্যাম্প করেন ওই স্বঘোষিত রোগের উপশমকারী। সেখানে প্রচুর মানুষ ভিড়ও জমান।

 

গুজরাতের বাসিন্দা কালো কম্বল বাবা রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ সহ বিভিন্ন ক্যাম্প করেন। তাঁর অলৌকিক ক্ষমতার প্রত্যক্ষ করতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান সেই সব সভায়। তাঁদের সমস্যার কথা শুনে নিজের কেরামতি দেখান ওই ব্যক্তি। অনেকে রোগ সারানোর জন্য এখ লক্ষ টাকা দিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। তবে কম্বল বাবার টোটকায় কেউ কেউ রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন। আবার অনেকেই বলেছেন, বাবা মুক্তির কথা বললেও, তাঁদের সমস্যা বিন্দুমাত্র কমেনি।

কিন্তু এ সব বিতর্কের মধ্যেই গণেশ ভাই জুরজার দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে থাকা কালো কম্বলের অলৌকিক ক্ষমতা রয়েছে। সেই ক্ষমতা বলেই রোগ নিরাময় করতে পারেন তিনি। কম্বল বাবার গায়ে সব সময় জড়ানো থাকে সেই কালো কম্বল। সেই কম্বল গায়ে নিয়ে কোনও রোগীর চিকিৎসা করলেই রোগ সেরে যায় বলে দাবি। এমনকি কালো কম্বল বাবার আরও দাবি, কোনও রোগী তাঁর সামনে এসে দাঁড়ালে তাঁকে দেখলেই সমস্যা চিহ্নিত করতে পারেন তিনি। এই ক্যাম্প আয়োজনের পিছনে থাকে রোজগারের উপায়। ক্যাম্পে আশা প্রত্যেককে খাওয়ার থালা কিনতে হয় কালো কম্বল বাবার থেকে। তা থেকেই গড়ডে ২ লক্ষ টাকা রোগজার হয় বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি নারকেল, বিছানা বিক্রি করে রোজগার তো রয়েইছে।