AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Meghalaya Murder: জুনিয়রের সঙ্গে মাখোমাখো প্রেম! কেন তাহলে রাজাকে বিয়ে করল সোনম?

Meghalaya Murder Update: কেন বিয়ের পরই হানিমুনে গিয়ে স্বামীকে খুন করাল সোনম? পুলিশি জেরায় জানা  গিয়েছে, সোনমের অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। তাঁর নাম রাজ কুশওয়াহা।

Meghalaya Murder: জুনিয়রের সঙ্গে মাখোমাখো প্রেম! কেন তাহলে রাজাকে বিয়ে করল সোনম?
রাজা ও সোনম রঘুবংশী।Image Credit: X
| Updated on: Jun 09, 2025 | 12:54 PM
Share

শিলং: হানিমুনে গিয়ে নিখোঁজ নয়, স্বামী রাজা রাজবংশীকে খুনই করেছে সোনম রঘুবংশী। সকলে ভেবেছিল, রাজা ও সোনমকে কেউ খুন করেছে। তবে জানা গেল, অন্য কেউ নয়, সোনমই খুনের পরিকল্পনা করেছিল। সদ্য বিবাহিত স্বামীকে খুন করার জন্য মধ্য প্রদেশ থেকে সুপারি কিলার ভাড়া করে নিয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ সময় ধরে পুলিশকে ঘোল খাওয়ানোর পর অবশেষে ধরা পড়ল সোনম।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনম নিজেই পুলিশের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে। উত্তর প্রদেশের গাজিপুরে লুকিয়েছিল সে। তদন্তে জানা গিয়েছে, রাজা রঘুবংশীকে খুন করার জন্য বিয়ের পরই সুপারি কিলার ভাড়া করে নিয়ে গিয়েছিল।

কেন বিয়ের পরই হানিমুনে গিয়ে স্বামীকে খুন করাল সোনম? পুলিশি জেরায় জানা  গিয়েছে, সোনমের অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। তাঁর নাম রাজ কুশওয়াহা। তাঁর সঙ্গেই পরিকল্পনা করে স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুন করার প্ল্যান ছকেছিল সোনম। তাঁর প্রেমিকই বুদ্ধি দিয়েছিল, হানিমুনে গিয়ে স্বামীকে খুন করে খাদে ফেলে দেওয়ার।

রাজা রঘুবংশীর ভাই সংবাদসংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন, রাজের নাম একাধিকবার শুনেছেন। রাজ কুশওয়াহা সোনমের অধীনে কাজ করতেন। প্রায়সময়ই সোনম রাজের সঙ্গে কথা বলত, কিন্তু কারোর সন্দেহ হয়নি যে রাজের সঙ্গে সোনমের সম্পর্ক ছিল।

পরিবারের দাবি, যখন সোনমের সঙ্গে রাজার বিয়ে ঠিক হয়, তখন তারা দুজনেই খুব খুশি ছিল। বিয়ের পর হানিমুনে তাদের অসমে যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে কামাক্ষ্যা মন্দিরে পুজো দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২১ মে তাঁরা ফোন করে জানায় যে মেঘালয় ঘুরতে যাচ্ছে তাঁরা। এরপরই ২৩ মে নিখোঁজ হয়ে যায় দুইজন। ১০ দিন পরে, ২ জুন রাজার পচাগলা দেহ খাদ থেকে উদ্ধার হয়। এতদিন ধরে নিখোঁজ ছিল সোনম।

গতকাল সোনম উত্তর প্রদেশের একটি ধাবা থেকে তাঁর পরিবারকে ফোন করে। এরপরই তার পরিবার ইন্দোর   পুলিশে খবর দেয়। ইন্দোর পুলিশ উত্তর প্রদেশ পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ পৌঁছলে সোনম নিজেই আত্মসমর্পণ করে।