শ্রীনগর: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি একযোগে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে, এমনটাই দাবি জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি (PDP) প্রধান মেহবুবা মুফতি (Mehbooba Mufti)-র। তিনি জানান, তদন্তকারী সংস্থাগুলি তাঁর বাবার সমাধিরও অডিট করছে।
পিডিপির যুব নেতা ওয়াহিদ পারা (Waheed Parra)-র গ্রেফতারির বিষয়ে মুফতি বলেন, “গত দুই বছর ধরেই তদন্তকারী সংস্থাগুলি আমার সরকারি নথি ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নজরদারি চালাচ্ছে, কিন্তু কোনকিছুই প্রমাণ করতে পারেনি। আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ না করতে পেরে তাঁরা এখন অন্য উপায়ে জঙ্গি সংগঠনে অর্থ ঢালার অভিযোগে ফাঁসানোর তেষ্টা করছে।”
২০১৬ সালে প্রয়াত হন মেহবুবা মুফতির বাবা মুফতি মহম্মদ সাইদ (Mufti Mohammed Sayeed)। দক্ষিণ কাশ্মীরের বিজেবেহারায় পৈত্রিক কবরস্থানে তাঁকে কবর দেওয়া হয়। সম্প্রতি ইডি (ED) ও এনআইএ (NIA) মেহবুবা মুফতির বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলায় তদন্ত শুরু করে এবং যাবতীয় স্থাবর সম্পত্তির হিসাবের জন্য অডিট (Audit) শুরু করে। তদন্তকারী সংস্থাগুলির এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ মুফতি বলেন, “এটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক ঘটনা যে তাঁরা আমার বাবার সমাধিরও অডিট করছেন। আর কত নীচুতে নামবেন?”
আরও পড়ুন: আজ কেন্দ্রের সঙ্গে ফের বৈঠক, দাবিপূরণ না হলে ট্রাক্টর মিছিলের হুমকি কৃষকদের
ক্ষমতায় থাকালীন আর্থিক তছরূপের অভিযোগের জবাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কীসের আর্থিক তছরুপ? এমন একটা মামলা প্রমাণ করে দেখাক যেখানে আমি বা আমার ঘনিষ্ট কেউ আর্থিক নয়ছয়ের সঙ্গে জড়িত, আমি ফল ভোগ করতে প্রস্তুত।”
অন্যদিকে, গত নভেম্বর মাসেই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে পিডিপির যুব নেতা ওয়াহিদ পারাকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনের সময় তিনি মেহবুবা মুফতির সপক্ষে সমর্থন চেয়ে হিজবুল মুজাহিদ্দিন (Hizbul Mujahideen) জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এনআইএ (NIA)-র দাবি, বর্তমানে সাসপেন্ড হওয়া জম্মু-কাশ্মীর পুলিসের ডেপুটি এসপি দভিন্দর সিংয়ের মাধ্যমে তিনি জঙ্গি সংগঠনের কাছে টাকা পাঠাতেন।
পারার গ্রেফতারির বিষয়ে মুফতি বলেন, “ওয়াহিদ হাজার হাজার বিপথে চালিত যুবককে মূলধারায় যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি সবই কল্পনাপ্রসূত। তাঁদের বুলিই আওড়ানোর জন্য আমার উপর চাপ সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা।”
আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুগামী রাজধানীতে আগুন, চালকের তৎপরতায় রক্ষা পেলেন যাত্রীরা