তিরুবনন্তপুরম: মোবাইল ফোন ছাড়া বর্তমানে টিকে থাকা প্রায় অনেকের কাছে অসম্ভব। মুঠো ফোন (Smart Phone) হলে তো আর কোনও কথাই নেই, তার মধ্যে গোটা একটা দুনিয়া লুকিয়ে রয়েছে। প্রযুক্তির (Technology) কল্যাণে আমাদের সকলের জীবন অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে ঠিকই তবে, সেই প্রযুক্তির আর্শীবাদই অনেকের জীবনে অন্ধকার হয়ে দেখা দিতে পারে। ভারতের দক্ষিণী রাজ্য কেরলে (Kerala), মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা ঘটেছে যাতে অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছেন। অসম নিবাসী খালিদা গাথুন নামে বছর ৪৪ এর এক মহিলাকে কুপিয়ে খুন করেছে তাঁর স্বামী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম ফারুখউদ্দিন। জানা গিয়েছে, মোবাইল ব্যবহার নিয়ে স্ত্রীয়ের সঙ্গে তর্ক বিতর্কের পরই তাঁকে হত্যা করে ফারুখউদ্দিন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি একটি প্লাইউড ফ্যাক্টরিতে কাজ করে। সেই এই মারাত্মক ঘটনা ঘটিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। পুলিশ তাঁর খোজ চালাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার ১ এপ্রিল ফারুখ তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করেছিল। রাত ১১ টা নাগাদ এই কাণ্ড ঘটায় সে। মোবাইল ফোন ব্যবহার নিয়ে ওই দম্পতির মধ্যে বাদানুবাদ চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। পেরুমবাভুর থানা পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে। ওই থানারই এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ফারুখ স্ত্রীকে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের কারণে সন্দেহ করত, মাঝেমধ্যে এই নিয়ে ওই দম্পতির মধ্য অশান্তি হত। শুক্রবার একই কারণে তাদের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে। সেই সময়ই ফারুখ ধারাল অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছিল। মহিলার চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা তাদের বাড়ি গিয়ে এই ঘটনার কথা জানতে পারে। প্রতিবেশিরা ওই দম্পতির একমাত্র ছেলেকে ঘটনার কথা জানায়। ছেলে বাড়িতে ঢুকে দেখে মা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে তাদের মনে হয়েছে, ফারুখই নিজের স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে গিয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। তাঁকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলে ঘটনা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে বলেই মনে করছেন পুলিশ আধিকারিকরা।