নয়া দিল্লি: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল। ৪৩ জন মন্ত্রীকে ক্যাবিনেটে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জায়গা ছেড়ে দিতে হল দুই দফার মন্ত্রীদেরও। নতুনদের জায়গা দিতে এ বার পদত্যাগ কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ ও কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের। আগেই পদত্যাগ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।
দেশে করোনা পরিস্থিতিতে একাধিকবার বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। সেখান থেকে পরিকল্পিত ভাবেই হর্ষ বর্ধনকে মোদী সরিয়েছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অন্যদিকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সদ্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক। পদত্যাগকারীদের মধ্যে থারচাঁদ গেহলট ইতিমধ্যেই কর্নাটকের রাজ্যপাল হয়েছেন। তাই কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না রবিশঙ্কর প্রসাদ ও প্রকাশ জাভড়েকরের পদত্যাগের।
সম্প্রতি নয়া ডিজিটাল আইন বলবৎ করার ক্ষেত্রে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ করেছে রবিশঙ্কর প্রসাদের মন্ত্রক। টুইটারের আইনি রক্ষাকবচ তুলে নেওয়া থেকে টুইটারের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই, কেন্দ্রের হয়ে সবটা সামলেছেন তিনি। তারপরও কেন পদত্যাগ, তার কোনও উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। মোদী মন্ত্রিসভার অন্যতম বড় মুখ রবিশঙ্কর প্রসাদ ও প্রকাশ জাভড়েকর। বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের হয়ে বক্তব্য পেশ করেন তাঁরা।
তাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছে, সাংগঠনিক কাজে ফিরতে পারেন এই ২ জন। সেই উদ্দেশেই পদত্যাগ। উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গওয়ার, রসায়ন ও সার মন্ত্রী সদানন্দ গৌড়া, রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক, থারাচাঁদ গেহলট, রবিশঙ্কর প্রসাদ, প্রকাশ জাভড়েকর, বাবুল সুপ্রিয়, সঞ্জয় ধোত্রে, রতন লাল কাতারিয়া, প্রতাপ চন্দ্র সরঙ্গি, দেবশ্রী চৌধুরীর পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: ‘ইস্তফা দিতে বলা হয়েছিল’, লিখেও মন্তব্য প্রত্যাহার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুলের! কেন?