Jyotirmath Shankaracharya: মোদী তাঁর শত্রু নন, তবে উদ্ধব ফের মুখ্যমন্ত্রী না-হলে ব্যথা যাবে না শঙ্করাচার্যর

Jyotirmath Shankaracharya: গত জানুয়ারি মাসে অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। সোমবার (১৫ জুলাই), স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ স্পষ্ট জানালেন নরেন্দ্র মোদী তাঁদের শত্রু নন। তবে, তিনি এটা বললেন শিবসেনা (উদ্ধব) দলের প্রধান, উদ্ধব ঠাকরের পাশে দাঁড়িয়ে। যে উদ্ধব ঠাকরে এখন মোদীর বিরোধী শিবিরের অন্যতম মুখ।

Jyotirmath Shankaracharya: মোদী তাঁর শত্রু নন, তবে উদ্ধব ফের মুখ্যমন্ত্রী না-হলে ব্যথা যাবে না শঙ্করাচার্যর
মোদী শত্রু নন, কিন্তু উদ্ধবের সঙ্গে 'পাপ' হয়েছে বলে জানালেন স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Jul 15, 2024 | 8:38 PM

মুম্বই: গত জানুয়ারি মাসে অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। সাফ বলেছিলেন, অসম্পূর্ণ মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা ঠিক হচ্ছে না। সেই থেকে, জ্যোতির্মঠের শঙ্করাচার্য হওয়া সত্ত্বেও, সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছে স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দেরকে। জনমানসে একটা ধারণা তৈরি হয়েছে, তিনি মোদী বিরোধী। এমনকি, তিনি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে এমন ধরনের কথা বলছেন, এই অভিযোগও করা হয়েছিল। তবে, অনন্ত অম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্টের ‘শুভ আশির্বাদ’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেখা গিয়েছে, তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে। স্বামীজিও তাঁকে আশির্বাদ দিয়েছেন। সোমবার (১৫ জুলাই), স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ স্পষ্ট জানালেন নরেন্দ্র মোদী তাঁদের শত্রু নন। তবে, তিনি এটা বললেন শিবসেনা (উদ্ধব) দলের প্রধান, উদ্ধব ঠাকরের পাশে দাঁড়িয়ে। যে উদ্ধব ঠাকরে এখন মোদীর বিরোধী শিবিরের অন্যতম মুখ।

অনন্ত অম্বানীর বিয়েতে শঙ্করাচার্যকে প্রণাম করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

এদিন, মুম্বইয়ে তাঁর পৈত্রিক বাসভবন, ‘মাতোশ্রী’তে জ্যোতির্মঠের শঙ্করাচার্যকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করে ‘মাতোশ্রী’তে গিয়েছিলেন। সেখানে অনেকটা সময় কাটান। এরপর, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, প্রধানমন্ত্রী মোদী আমার কাছে এসে ‘প্রণাম’ করেছিলেন (অনন্ত অম্বানীর শুভ আশির্বাদে)। আমাদের নিয়ম হল, যেই আমাদের কাছে আসবেন, আমরা তাকেই আশীর্বাদ করি। নরেন্দ্র মোদীজি আমাদের শত্রু নন। আমরা তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষী এবং সবসময় তাঁর কল্যাণ চাই। তবে, তিনি যদি কোনও ভুল করেন, আমরা তাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিই।”

এদিন, মহারাষ্ট্রের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও মুখ খোলেন স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। ‘মাতোশ্রী’তে উদ্ধব ঠাকরে ও আদিত্য ঠাকরের সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটানোর পর তিনি বলেন, “আমরা হিন্দু ধর্ম মেনে চলি। আমরা ‘পুণ্য’ ও ‘পাপ’-এ বিশ্বাস করি। ‘বিশ্বঘাতকতা’কে সবচেয়ে বড় পাপ বলে মনে করা হয়। উদ্ধব ঠাকরেকেও সেই পাপের শিকার হতে হয়েছে। আমায় তিনি তাঁর বাসভবনে স্বাগত জানিয়েছেন। আমরা তাঁকে বলেছি, তাঁর সঙ্গে যে বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে, আমরা তার জন্য ব্যথিত। তিনি ফের মুখ্যমন্ত্রী না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সেই ব্যথা যাবে না।”

প্রসঙ্গত, ২০২২-এর ৩০ জুন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়েছিল উদ্ধব ঠাকরেকে। দলের মধ্যে বিদ্রোহ করে, সংখ্যাগরিষ্ঠ শিবসেনা বিধায়কদের নিয়ে দল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন একনাথ শিন্ডে। তিনি এখন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করেছেন। পরে, সেই সরকারে যোগ দিয়েছে অজিত পওয়ারের এনসিপি-ও। দল ছাড়ার পর, একনাথ শিন্ডে দাবি করেছেন, হিন্দুত্বের পথ থেকে সরে এসেছেন উদ্ধব। তারপরও সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তাদের মহাযুতি জোটের এক প্রকার পরাজয় হয়েছে। আসন্ন মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের যা উদ্ধব ঠাকরে, শরদ পওয়ার এবং কংগ্রসের মহা বিকাশ আগাড়ি জোটকে অক্সিজেন দিয়েছে। এদিন, জ্যোতির্মঠের শঙ্করাচার্যর শংসাপত্র, উদ্ধব এবং আগাড়ি জোটকে আরও বড় অনুপ্রেরণা দিল, তা বলাই বাহুল্য।