
ভূস্বর্গ নিরাপদ, এই ভাবনা থেকে যে পর্যটকরা সেখানে বেড়াতে গিয়েছিলেন, তাঁদের এমন পরিণতি হবে, তা কেউ কল্পনা করতে পারেননি। মঙ্গলবার কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গিরা নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে নিরীহ পর্যটকদের। বলা ভালো বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের গুলি করে মেরেছে জঙ্গিরা। চোখের সামনে পরিজনদের ঝাঁঝরা হয়ে যেতে দেখেছেন বহু পর্যটক। নাম, পরিচয় জানার পর হিন্দু পর্যটকদের বেছে বেছে হত্যা করা হয়েছে। দেশজুড়ে বিভিন্ন মহলে এই নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। সৌরভ, সচিন, গম্ভীর থেকে শুরু করে ভারতীয় ক্রিকেট জগতের একাধিক তারকারা ইতিমধ্যেই নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। পাশাপাশি ভারত সরকার যে কড়া পদক্ষেপ নেবে, তাও স্পষ্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের চলন বলনে। এই আবহেই মঙ্গলবারের সন্ত্রাসবাদী হামলা নিয়ে মুখ খুললেন ভারতীয় টিমের দুই সদস্য মহম্মদ সিরাজ ও মহম্মদ সামি। টিম ইন্ডিয়ার এই দুই জনপ্রিয় ক্রিকেটার কী বলছেন?
২০০৮ সালে মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলার পর পহেলগাঁওয়ের এই সন্ত্রাসদের হামলাই সাধারণ জনগনের উপর ঘটা সবচেয়ে বড় আক্রমণ বা হিংসা। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় টিমের দুই তারকা সামি ও সিরাজ মুখ খুলেছেন। ইন্সটাগ্রামে একটি পোস্টে টিম ইন্ডিয়ার পেসার সিরাজ লিখেছেন, ‘এই মাত্র পহেলগাঁওতে ভয়ঙ্কর, মর্মান্তিক জঙ্গি হামলার খবর পেলাম। দেশের নিরীহ নাগরিকদের ধর্মের নাম করে মেরে ফেলাটা অত্যন্ত নৃশংস ঘটনা। কোনও কারণ, কোনও বিশ্বাস, কোনও আদর্শ এই রকম দানবীয় হত্যাকাণ্ডের ব্যাখ্যা হতেই পারে না। এ কেমন লড়াই… যেখানে মানুষের জীবনের বিন্দুমাত্র মূল্য নেই…।’
সিরাজ এরপর কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় নিহতদের পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি আরও লেখেন, ‘নিহতদের পরিবার যে ঠিক কোন যন্ত্রণা এবং অবসাদের মধ্যে রয়েছে, সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। তাঁরা যেন এই অসহনীয় শোক সহ্য করতে পারেন। আমরা এই ক্ষতির জন্য অত্যন্ত দুঃখিত। আমি চাই এই নারকীয়তা দ্রুত যেন শেষ হয়। জঙ্গিরা যেন দ্রুত ধরা পড়ে। আর কোনও ক্ষমা নয়, তাদের যেন উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয়।’
সিরাজের মতো মহম্মদ সামিও সরব হয়েছেন। ইন্সটাগ্রাম স্টোরিতে তিনি একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘পর্যটকরা এখানে সৌন্দর্য ও শান্তি খুঁজতে আসেন। সন্ত্রাসবাদ নয়। পহেলগাঁওয়ে যে জঙ্গি হামলা হয়েছে তা হৃদয়বিদারক এবং অমানবিক। নিহত এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জন্য কষ্ট হচ্ছে। তাঁদের সমবেদনা জানাই।’
সামির ইন্সটা পোস্ট
উল্লেখ্য, কাশ্মীরে এই টার্গেট কিলিংয়ের দায় স্বীকার করেছে টিআরএফ। এটি পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮।