“ব্রেক-আপের পরই অধিকাংশ ধর্ষণের মামলা দায়ের”, বিতর্কিত মন্তব্য মহিলা কমিশনের প্রধানের

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Dec 12, 2020 | 7:07 PM

ডানপন্থী সমর্থকদের দাবি, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (National Crime Record Bureau)-র রিপোর্টে প্রতিবছর মহিলাদের বিরুদ্ধে যে অপরাধের পরিসংখ্যান জমা দেওয়া হয়, তা অনেকটাই কমিয়ে প্রদর্শন করা হয়।

ব্রেক-আপের পরই অধিকাংশ ধর্ষণের মামলা দায়ের, বিতর্কিত মন্তব্য মহিলা কমিশনের প্রধানের
ছত্তিসগঢ়ের মহিলা কমিশনের প্রধান কিরণময়ী নায়ক।

Follow Us

ভোপাল: দেশে অধিকাংশ ধর্ষণের মামলা (Rape Case) দায়ের হয় না, অভিযোগ দায়ের হলেও মেলে না সুবিচার। সরকারি তথ্যেই রয়েছে তার প্রমাণ। এরইমধ্যে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে ফের একবার বিতর্ক উসকে দিলেন মহিলা কমিশনের প্রধান। “ব্রেক-আপের পরই অধিকাংশ মহিলা ধর্ষণের মামলা করেন”, এমনটাই মন্তব্য করেন ছত্তিসগঢ় (Chattisgarh)-র মহিলা কমিশনের প্রধান কিরণময়ী নায়ক (Kiranmayi Nayak)।

তিনি বলেন,”যদি একজন মহিলা বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান, তবে তাকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে তার সঙ্গী মিথ্যা বলছে কিনা এবং তার সঙ্গে থাকতে চায় কিনা। যখনই সেটা হয় না, তখন তারা, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মহিলারই পুলিসের কাছে যায়।”

শুক্রবার বিলাসপুরে এক মহিলা নিগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,”অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মেয়েরা নিজের সম্মতিতেই সম্পর্কে জড়ায়, লিভ-ইন সম্পর্কে (Live-In Relaion) থাকে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরই তারা পুলিসের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ জানায়।”

আরও পড়ুন:হায়দরাবাদে ওষুধ কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, আহত কমপক্ষে ৮

মহিলা কমিশনের লক্ষ্য সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে করুণাময়ী নায়ক বলেন,”এই কমিশনের মাধ্যমে আমরা যথাসম্ভব গাহস্থ্য সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করি। বোঝানোর জন্য অনেকসময় মহিলা ও পুরুষ-উভয়কেই বকাবকি অবধি করা হয়। এটা কাউন্সেলিং করারই একটি পদ্ধতি।”

অল্পবয়সী মেয়েদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,”যদি তুমি নাবালিকা হও, তবে দয়া করে ফিল্মি রোম্যান্সের ফাঁদে পা দিও না। নিজের গোটা জীবনের সঙ্গে সঙ্গে পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের জীবনও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এখন একটা নতুন ট্রেন্ড শুরু হয়েছে, যেখানে ১৮ বছর বয়সেই বিয়ে সেরে ফেলতে চান অনেকে। কয়েকবছর পর যখন সন্তান হয়, তখন একসঙ্গে থাকাই কষ্টকর হয়ে ওঠে এদের পক্ষে।”

মহিলা কমিশনের প্রধানের এইধরনের বিতর্কিত মন্তব্যে ফের একবার পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ছবিটাই ফুটে উঠেছে বলে দাবি একাংশের। ডানপন্থী সমর্থকদের দাবি, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (National Crime Record Bureau)-র রিপোর্টে প্রতিবছর মহিলাদের বিরুদ্ধে যে অপরাধের পরিসংখ্যান জমা দেওয়া হয়, তা অনেকটাই কমিয়ে প্রদর্শন করা হয়। দেশের বেশ কয়েকটি জায়গাতেই ধর্ষণের রিপোর্ট ধামাচাপা দেওয়া হয়। ধর্ষণ করে খুনের মামলা (Rape and Murder)-র ক্ষেত্রে কেবল খুনের অভিযোগই দায়ের করা হয়। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয় না, গাফিলতি থাকে পুলিসি তদন্তেও।

আরও পড়ুন: প্রেমিকা, প্রেমিকার ভাই ও ঠাকুমাকে খুন করে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী যুবক

Next Article