AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বেডের ঘাটতি মেটাতে পাঁচতারা হোটেলে চিকিৎসা হবে করোনা রোগীদের

যে ঘরে রোগী থাকবেন, তার জন্য ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত নিতে পারবে হোটেলগুলি। আর যদি রোগীর সঙ্গে একজন আত্মীয় থাকেন, তাহলে ৬ হাজার টাকা করে নিতে পারবে হোটেলগুলি।

বেডের ঘাটতি মেটাতে পাঁচতারা হোটেলে চিকিৎসা হবে করোনা রোগীদের
ফাইল চিত্র
| Updated on: Apr 15, 2021 | 11:13 AM
Share

মুম্বই: দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সবচেয়ে বেশি করোনা (COVID) বিধ্বস্ত ঠাকরে রাজ্যে। মহারাষ্ট্রে দৈনিক করোনা সংক্রমণ গড়ে ৬০ হাজারের অঙ্ক ছাড়িয়েছে। যার ফলে বারবার প্রকাশ্যে আসছে রাজ্যের ভেঙে যাওয়া স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। একাধিক সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বেড নেই। হন্যে দিয়ে পড়ে থেকেও বেড পাচ্ছেন না করোনা রোগীরা। তাই মুম্বই শহরের প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাঝারি উপসর্গযুক্ত করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা হবে পাঁচতারা হোটেলে।

সে কারণেই বৃহস্পতিবার থেকে দু’টি পাঁচতারা হোটেলে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে মুম্বইয়ে। এইভাবে যাঁদের ক্রিটিকাল ইউনিটে রাখার পরিস্থিতি নয়, তাঁদের হাসপাতাল থেকে পাঁচতারা হোটেলে স্থানান্তরিত করা হবে। বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্য়াল করপোরেশন জানিয়েছে, ২০টি ঘর থাকলে সেই হোটেলগুলির সঙ্গে চুক্তি করে সেখানে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা হবে। চিকিৎসকদের অনুমতি নিয়েই সেখানে হাসপাতাল থেকে রোগীদের পাঠানো হবে। যার ফলে হাসপাতালে শূন্য বেডের সংখ্যা বাড়বে। হোটেলগুলিতে ঘড়ি ধরে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও ওষুধ পৌঁছবে।

যে ঘরে রোগী থাকবেন, তার জন্য ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত নিতে পারবে হোটেলগুলি। আর যদি রোগীর সঙ্গে একজন আত্মীয় থাকেন, তাহলে ৬ হাজার টাকা করে নিতে পারবে হোটেলগুলি। উপসর্গহীন করোনা রোগীরাও এই হোটেলগুলিতে থাকতে পারবেন। বৃহস্পতিবারই একটি খবর সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে করোনা আক্রান্ত বাবাকে নিয়ে মহারাষ্ট্র ও নাগপুরের একাধিক হাসপাতাল ঘুরেও চিকিৎসা করাতে পারছেন না এক ব্যক্তি। কোথাও বেড নেই। এ রকম একের পর এক ঘটনার পর রোগীদের সুবিধার্থে এই পদক্ষেপ নিয়েছে বৃহন্মুম্বই পুরসভা।

বুধবার স্রেফ মুম্বইতেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৯৩১ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ৫৪ জন। লাগাতার বাড়তি এই করোনা সংক্রমণ যাতে রোখা যায় ও রোগীদের সঠিক চিকিৎসা দেওয়া যায়, তা সুনিশ্চিত করতেই এহেন পদক্ষেপ। এ ছাড়া করোনা রোগীদের চিকিৎসা করাতে মহারাষ্ট্রের একাধিক বেসরকারি হাসপাতালেও করোনার ক্রিটিকাল ইউনিট তৈরি হচ্ছে। জসলক হাসপাতাল সম্পূর্ণ করোনা হাসপাতালে রূপান্তরিত হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম মারফত জানা গিয়েচে, বম্বে হাসপাতালের মাঝারি উপসর্গযুক্ত রোগীদের ইন্টাকন্টিনেন্টাল হোটেলে পাঠানো হচ্ছে। এইচএন রিলায়্যান্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালের রোগীদের পাঠানো হচ্ছে ট্রাইডেন্ট হাসপাতালে।

আরও পড়ুন: ২ লাখ পার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা, একদিনেই মৃত্যু ১ হাজার ৩৮ জনের