চলন্ত ট্যাক্সির মধ্যে কিশোরীকে ‘গণধর্ষণ’, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত
পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ির লোকেদের উপর রাগ করে একা বেরিয়েছিল ওই কিশোরী। সেই সুযোগেই তাকে ট্যাক্সিতে তুলে ধর্ষণ করা হয়। গণধর্ষণে অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে ওই ট্যাক্সির চালক এবং অপর এক যুবক, যিনি একটি হোটেলে কাজ করেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
মুম্বই: চলন্ত ট্যাক্সির মধ্যেই নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গণধর্ষণে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বইয়ে। মুম্বইয়ের দাদর থেকে মালাডের মধ্যেই এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ির লোকেদের উপর রাগ করে একা বেরিয়েছিল ওই কিশোরী। সেই সুযোগেই তাকে ট্যাক্সিতে তুলে ধর্ষণ করা হয়। গণধর্ষণে অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে ওই ট্যাক্সির চালক এবং অপর এক যুবক, যিনি একটি হোটেলে কাজ করেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ১৪ বছরের ওই কিশোরী রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। মালাডের মালভানি এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিল সে। নাবালিকাকে একা দেখে এক ট্যাক্সিচালক কোথায় যাবে জিজ্ঞাসা করেন। এবং মালভানিতে নামিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। সেই মতো ট্যাক্সিতে চেপেছিলেন ওই কিশোরী। এর পর নাবালিকাকে নিয়ে ট্যাক্সি যায় দাদারে। সেখানে ট্যাক্সিতে ওঠেন অপর অভিযুক্ত। এর পর মালাডের উদ্দেশে রওনা দেয় ট্যাক্সি। চলন্ত ট্যাক্সির মধ্যেই নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।
নাবালিকা বাড়িতে থেকে পালিয়ে গিয়েছে দেখে পুলিশে অভিযোগ করেছিলেন কিশোরীর পরিবারের লোকেরা। সেই অভিযোগ পেয়ে মুম্বই পুলিশ কিশোরীর খোঁজ চালাচ্ছিল। সিসিটিভি সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মালাড এলাকায় তল্লাশিতে ওই কিশোরীর খোঁজ পায় পুলিশ। তখন পুলিশকে ওই কিশোরী জানায়, ট্যাক্সিতে তাকে দুজন মিলে গণধর্ষণ করেছে। এর পর ট্যাক্সির খোঁজ শুরু হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ট্যাক্সি সমেত ট্যাক্সিচালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। অপর অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনা নিয়ে মুম্বই পুলিশের এক অফিসার জানিয়েছেন, ট্যাক্সির পিছনের সিটে নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চালায় ট্যাক্সিচালক ও এক ব্যক্তি। ঘটনা নিয়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ নম্বর ধারা এবং পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।