মুম্বই: গত সপ্তাহেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়েছিলেন যে নিয়মভঙ্গ করা হলেই বন্ধ করে দেওয়া হবে হোটেল-রেস্তরাঁ। বৈঠকে সম্মতি জানালেও হাতে-কলমে তা করা হয়নি। তবে কথা রাখল বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। বুধবার রাতে মুম্বইয়ের একটি বিখ্যাত রেস্তরাঁয় হানা দেয় পুরসভার আধিকারিকরা, মাস্ক না পরায় উপস্থিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৯ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এরপরই বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই রেস্তরাঁটিকে।
প্রতিদিনই মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ, এর মধ্যে ২৩ হাজার মানুষই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। বাড়তি সংক্রমণের কারণে একাধিক রাজ্যে ইতিমধ্যেই লকডাউন করেছে ঠাকরে সরকার। গত সপ্তাহেই রাজ্যের সমস্ত হোটেল-রেস্তরাঁ ও শপিং মলগুলির মালিক-প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। সেই বৈঠকে তিনি বলেছিলেন, “যদি লকডাউন না চান, তবে সমস্ত করোনাবিধি মেনে চলুন। সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরার মতো অতি সাধারণ নিয়মগুলিও যদি মানা না হয়, তবে সরাসরি লকডাউন জারি করা হবে।”
আরও পড়ুন: এক পয়েন্টে হার, দুঃখে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন ‘দঙ্গল গার্লে’র বোন রীতিকা ফোগট
রাজ্য সরকারের তরফে স্থানীয় প্রসাসনকে তল্লাশি অভিযান চালানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশ অনুসারেই গতকাল রাতে মুম্বইয়ের একটি বিখ্যাত রেস্তরাঁয় হানা দেয় পৌরসভার আধিকারিকরা। সেই সময় রেস্তরাঁয় উপস্থিত ছিল প্রায় ৩০০ জন। এদের মধ্যে মাস্ক না পরায় ২৪৫ জনের কাছ থেকে মোট ১৯ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পুরসভার আধিকারিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই রেস্তরাঁর বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করেছে।
এই বিষয়ে পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, “রাজ্য প্রশাসনের তরফে ৫০ শতাংশ জনসমাগমের নির্দেশ দেওয়া হলেও সেই নিয়ম মানা হচ্ছিল না। মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো নিয়মগুলিও অনুসরণ করা হচ্ছিল না। কোভিড বিধি ভঙ্গ করার অভিযোগে বিএমসির ডি ওয়ার্ড ওই রেস্তরাঁটি বন্ধ করে দিয়েছেন।”
লাগামহীন করোনা সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখেই সোমবার মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে জানানো হয়, আগামী ৩১ মার্চ অবধি রাজ্যের সমস্ত সিনেমা হল, হোটেল, রেস্তরাঁ, অফিসগুলিতে ৫০ শতাংশ জনসংখ্যা নিয়ে চালাতে হবে। কেবল স্বাস্থ্য ও জরুরি পরিষেবাগুলির ক্ষেত্রে নিয়মে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তাপমাত্রা পরীক্ষা ও মাস্ক ছাড়া কোনও প্রতিষ্ঠানে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নিয়ম ভঙ্গ করা হলে প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: ক্যাডবেরির বিরুদ্ধে বিরাট জালিয়াতির অভিযোগ, মামলা সিবিআই-এর