ক্যাডবেরির বিরুদ্ধে বিরাট জালিয়াতির অভিযোগ, মামলা সিবিআই-এর
২০০৯ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে হিমাচল প্রদেশে জেমস(Gems) ও ৫ স্টার (5 Star) চকোলেট তৈরির ইউনিটে ২৪১ কোটি টাকার আয়কর (Income Tax) ফাঁকি দিয়েছে সংস্থা। এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন আয়কর আধিকারিকরাও, এমনটাই অভিযোগ সিবিআই(CBI)-এর।
নয়া দিল্লি: কর ফাঁকি ও জালিয়াতির অভিযোগ উঠল ক্যাডবেরি ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড(Cadbury India Private Limited)-র বিরুদ্ধে। হিমাচল প্রদেশ(Himachal Pradesh)-র বাদ্দি এলাকায় সংস্থার একটি ইউনিটে দুর্নীতি ও ভুল তথ্য জমা দিয়ে করের সুবিধা নিয়েছে ক্যাডবেরি কোম্পানি, এমনটাই অভিযোগ তুলেছে সিবিআই(CBI)। ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার হরিয়ানা ও হিমাচল প্রদেশে সংস্থার ইউনিটে তল্লাশি অভিযোগ চালিয়ে বেশকিছু বেআইনি নথি ও পণ্য আটক করা হয়েছে।
সূত্র অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে কেন্দ্রীয় আয়কর আধিকারিকদের সঙ্গে চক্রান্ত করে হিমাচল প্রদেশে জেমস(Gems) ও ৫ স্টার (5 Star) চকোলেট তৈরির ইউনিটে ২৪১ কোটি টাকার আয়করের সুবিধা নিয়েছে ক্যাডবেরি সংস্থা। তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, ঘুষ দিয়ে,ভুল তথ্য পেশ করে ও নথি জালিয়াতি করে এলাকা ভিত্তিক কর ছাড়ের সুযোগ নিয়েছে বিশ্বের বিখ্যাত চকোলেট প্রস্তুতকারক সংস্থা।
আরও পড়ুন: এক দিনে আক্রান্ত ৩৫ হাজার ৮৭১, ডিসেম্বরের পর সর্বোচ্চ
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালে অভিযুক্ত সংস্থা হিমাচল প্রদেশের বাদ্দি এলাকায় একটি নতুন ইউনিট গঠন করবে বলে জানিয়েছিল। অনুন্নত এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ দেখিয়ে শুল্কছাড় ও ১০ বছরের জন্য আয়করে ছাড়ের আবেদন করে সংস্থা। তবে প্রতিশ্রুতি মতো নতুন ইউনিট তৈরি করার বদলে তারা ২০০৫ সালে বর্নভিটা (Bournvita) উৎপাদনের জন্য ক্যাডবেরির যে ইউনিটটি তৈরি করা হয়েছিল, তারই আয়তন বাড়ানো হয়। এদিকে, ২০১০ সালের জুলাই মাসে সংস্থা তাঁদের দ্বিতীয় ইউনিটের জন্য লাইসেন্সও পেয়ে যায়।
সিবিআইয়ের দাবি, “শুল্কে ছাড়লাভের জন্য যে শর্তগুলি পূরণ করতে হয়, তা সিআইএল পূরণ করেনি। কিন্তু কেন্দ্রীয় আয়কর আধিকারিক নির্মল সিং ও জসপ্রীত কৌরকে মিডলম্যানের সাহায্যে ঘুষ দিয়ে ২৪১ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছে। সংস্থার এক্সেকিউটিভ বোর্ডের সদস্য ও ম্যানেজাররা রেকর্ডে জালিয়াতি, তথ্য জালিয়াতি ও প্রমাণ মেটানোর চেষ্টা করেছিলেন।”প্রাথমিক তদন্তের পর ইতিমধ্যেই একটি ফার্স্ট ইনফরমেসন রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, মনডেলেজ় (ক্যাডবেরি সংস্থা)-র তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৯ সালে সবকা বিকাশ প্রকল্পের মাধ্যমে করে ছাড়ের আবেদন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘আজানের শব্দ ঘুমোতে পারছি না’, চিঠি দিলেন উপাচার্য