Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘আজানের শব্দ ঘুমোতে পারছি না’, চিঠি দিলেন উপাচার্য

ঘুম ভেঙে গেলে সারা দিন মাথা ব্যাথা করে। উপাচার্যের (Vice-Chancellor) চিঠি ঘিরে বিতর্ক প্রয়াগরাজে।

'আজানের শব্দ ঘুমোতে পারছি না', চিঠি দিলেন উপাচার্য
আজানের শব্দে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে উপাচার্যের
Follow Us:
| Updated on: Mar 17, 2021 | 8:49 PM

এলাহবাদ: ভোরের আজানের শব্দে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে। সারাদিন মাথা যন্ত্রণা। কাজ করতে পারছেন না। এক বিতর্কিত চিঠিতে ‌এমনই লিখলেন এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Allahabad University) উপাচার্য সঙ্গীতা শ্রীবাস্তব। জেলাশাসক ভানুচন্দ্র গোস্বামীকে এই চিঠি লিখেছেন তিনি। জেলাশাসক জানিয়েছেন আইন মেনেই তিনি ব্যবস্থা নেবেন। তবে সব ধর্মের আবেগকে সম্মান জানানো উচিৎ বলে উল্লেখ করেন ইমামরা।

উপাচার্য সঙ্গীতা শ্রীবাস্তব জেলাশাসকের কাছে লেখা ওই চিঠিতে আরও জানিয়েছেন, সাড়ে ৫ টায় আজানে ঘুম ভাঙে। আজান থেমে গেলেও ঘুম আর আসে না। মাথা ধরে থাকে। আর তারই প্রভাব পড়ে সারাদিনের কাজে। তবে তাঁর চিঠিতে তিনি পরিষ্কার করে দিয়েছেন, তিনি কোনও ধর্মের বিরোধী নন। কিন্তু রমজানের সময় ভোর চারটে থেকে মসজিদের মাইকে যেভাবে ঘোষণা শুরু হয়ে যায়, তাতে এলাকার মানুষদের অসুবিধা হয়। মাইক না বাজিয়ে আজান দেওয়ার পক্ষপাতি তিনি।

এই অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। উপাচার্যের অভিযোগকে সমর্থন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিজেপি মুখপাত্র মণীশ শুক্লা। তাঁর কথায়,’দেশের সংবিধান ও আইন প্রত্যেককেই অধিকার লঙ্ঘিত হলে প্রতিবাদের অধিকার দিয়েছে।’ সমাজবাদী পার্টির মুখপাত্র অনুরাগ ভাদোরিয়া আবার কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপিকে। তাঁর অভিযোগ, যে দিন থেকে বিজেপি এখানে ক্ষমতায় এসেছে, সব ইস্যুর সঙ্গেই জাতপাত ও ধর্মকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।’

প্রয়াগরাজ পুলিশের ডিআইজি কবিনদ্র প্রতা সিং জানিয়েছেন, তাঁরা এমন একটি চিঠি পেয়েছেন। তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী, রাত ১০ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত কোনও ঘোষণা করা যায় না। করতে গেলে বিশেষ অনুমতি লাগে। এ ক্ষেত্রে অনুমতি না থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে কর্ণাটকের য়াকফ বোর্ড ইতিমধ্যেই রাজ্যের সর্বত্র রাত দশটা থেকে সকাল ছ’টার মধ্যে মসজিদ ও দরগায় আজানের সময় মাইকের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। শব্দদূষণ রোধ করতেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে।