AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

এক দিনে আক্রান্ত ৩৫ হাজার ৮৭১, ডিসেম্বরের পর সর্বোচ্চ

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ (Second Wave) বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে জরুরি বৈঠকও সেরে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।

এক দিনে আক্রান্ত ৩৫ হাজার ৮৭১, ডিসেম্বরের পর সর্বোচ্চ
| Updated on: Mar 18, 2021 | 10:53 AM
Share

নয়া দিল্লি: এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গেল করোনা (COVID 19) সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫,৮৭১। ডিসেম্বরের পর এক দিনের হিসেবে এটাই সর্বোচ্চ। বৃহস্পতিবার সকালে পাওয়া স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্টে এই ছবি সামনে এসেছে। এই নিয়ে ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১ কোটি ১৮ লক্ষ। দেশের মধ্যে সর্বাধিক আক্রান্তের সংখ্যা মহারাষ্ট্রে। বুধবার ২৮ হাজার ৯০৩ জন নতুন আক্রান্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহ ধরে প্রত্যেক দিন নতুন ২০,০০০ আক্রান্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে ভারতে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রন্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৭২। বুধবার ১৮৮ জনের মৃত্যু হয় করোনা সংক্রমণে। এটাই চলতি সপ্তাহের সর্বোচ্চ।

গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩,১৭৯ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রে। অতিমারীর শুরু থেকে এই রাজ্যে মোট আক্রান্ত হয়েছে ২৩ লক্ষ মানুষ। দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যার ৬০ শতাংশই শুধু এই মহারাষ্ট্রে।

দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে রুখতে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন যে প্রয়োজনে ছোটো ছোটো কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করে করোনা ক্লাস্টার রুখতে। টেস্ট, ট্র্যাক ও ট্রিট, এই পদ্ধতি মেনে চলতেও বলেছেন তিনি। মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশে সংক্রমণের হার নিয়ে বিশেষ ভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। অনেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কাছে আর্জি জানান যে এবার পুরো জনসংখ্যার জন্য করোনা টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।

গুজরাটে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১২২ নতুন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। ৭৭৫ মানুষ সুস্থ হয়েছেন, ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহমেদাবাদ, সুরট, ভদোদরা , রাজকোটে নাইট কার্ফু আরও ২ ঘণ্টা করে বাড়ানো হয়েছে। কর্ণাটকেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দ্রুত গতিতে। নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১২৭৫। সুস্থ হয়েছেন ৪৭৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। এছাড়া দিল্লিতে আক্রান্তের একদিনে সংখ্যা ৫৩৬, সুস্থ হয়েছেন ৩১৯ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের৷