শারীরিকভাবে সুস্থ হলেও মেটেনি মনের ক্ষত, গণধর্ষণকাণ্ডে বয়ান না দিয়েই শহর ছাড়লেন নির্যাতিতা

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Aug 30, 2021 | 7:50 AM

Mysuru Gangrape Case: মঙ্গলবার বিকেলে শহরের অদূরে ওই পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে গেলে আচমকাই তাঁদের ঘিরে ফেলে একদল দুষ্কৃতী। জঙ্গলের দিকে তাদের যেতে দেখেই কুমন্তব্য় করে অভিযুক্তরা এবং তাঁদের কাছে টাকা দাবি করে।

শারীরিকভাবে সুস্থ হলেও মেটেনি মনের ক্ষত, গণধর্ষণকাণ্ডে বয়ান না দিয়েই শহর ছাড়লেন নির্যাতিতা
প্রতীকী চিত্র

Follow Us

বেঙ্গালুরু: শারীরিক অত্যাচারের ধাক্কা সামলিয়ে উঠতে পারলেও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বেঙ্গালুরুর নির্যাতিতা (Bengaluru Rape Case)। তাই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বয়ান না দিয়ে, গোটা পরিবার নিয়েই শহর ছাড়লেন তিনি। গত মঙ্গলবারই মাইসোরের চামুণ্ডি পাহাড়ে এক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন ২৩ বছরের ওই তরুণী।

পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, গুরতর আহত অবস্থায় মঙ্গলবার গভীর রাতে যখন ওই তরুণী ও তাঁর বন্দুকে উদ্ধার করা হয়েছিল, তখন তাঁর কথা বলার মতো পরিস্থিতি ছিল না। অসুস্থতার কারণেই হাসপাতালে থাকাকালীনও তাঁর বয়ান নেওয়া যায়নি। পুলিশ ওই তরুণীর সুস্থ হয়ে ওঠারই অপেক্ষা করছিল। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বাড়ি এলেও মুখ খোলেননি তিনি। গোটা পরিবারকে নিয়েই তিনি অন্যত্র চলে গিয়েছেন। তবে তরুণীর এই পদক্ষেপে ধৃত পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে করা মামলা দুর্বল হয়ে যাবে, এমনকি তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা পুলিশের।

চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার ২২ বছরের ওই যুবতী এক বন্ধুকে নিয়ে বেঙ্গালুরু (Bengaluru) থেকে ১৫০ কিমি দূরত্বে অবস্থিত চামুণ্ডি পাহাড়ে (Chamundi Hills) ঘুরতে যায়। জানা গিয়েছে, আদতে ওই যুবতী মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা হলেও মাইসোর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Mysore University) বিবিএ (BBA) পড়তে এসেছিল। মঙ্গলবার বিকেলে শহরের অদূরে ওই পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে গেলে আচমকাই তাঁদের ঘিরে ফেলে একদল দুষ্কৃতী। জঙ্গলের দিকে তাদের যেতে দেখেই কুমন্তব্য় করে অভিযুক্তরা এবং তাঁদের কাছে টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় যুবতীকে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে দু’জন। নির্মমভাবে মারধর করে নির্যাতিতার বন্ধুকে। ছয় ঘণ্টা বাদে তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

মঙ্গলবার মারধর ও গণধর্ষণের ঘটনার পরই ওই তরুণীর বন্ধুর বয়ানের ভিত্তিতে এফআইআর ও পরে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাস্থানে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ বাসের টিকিট ও মদের বোতল খুঁজে পায়। তামিলনাড়ুর তালওয়াড়ি থেকে কর্নাটকের চামারাজনগরের ওই বাসের টিকিট ও মদের বোতলে তামিলনাড়ু শুল্ক দফতরের স্টিকার দেখেই পুলিশ আন্দাজ করে অভিযুক্তরা তামিলনাড়ুর। এরপর অপরাধ স্থলের আশেপাশের মোবাইল টাওয়ার ব্যবহার করে যাবতীয় কল ডিটেইলস বের করে পুলিশ। সেই সূত্র ধরেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয় শুক্রবার। অপর এক অভিযুক্ত এখনও পলাতক, তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন আবার নাবালক বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে।

এ দিকে, গণধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হতেই গোটা রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়।  ঘটনার প্রসঙ্গে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই বলেন, “নির্যাতিতার প্রাথমিক বয়ানের ভিত্তিতে  অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি, যাতে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়।” আরও পড়ুন: সুস্মিতা দেবের হাত ধরে অসমে এবার মাটি তৈরির চেষ্টা তৃণমূলের, শুরু সদস্যপদ সংগ্রহ অভিযান 

Next Article