দেশ: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) সরকার সমাজের দরিদ্র, অনগ্রসর ও বঞ্চিত শ্রেণির কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে রক্ষিত হয়েছে তাঁদের মানবাধিকার রক্ষা।” মঙ্গলবার এমনটাই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।
মঙ্গলবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (National Human Rights Commission) বা এনএইচআরসি-র প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই উপলক্ষে ভাষণ দিতে গিয়ে অমিত শাহ তুলে আনেন মোদী সরকারের আমলে অনগ্রসর শ্রেণির জন্য উন্নয়নের কথা। দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে গত ২৮ বছর যেভাবে কাজ করেছে কমিশন তার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, গত ২৮ বছর ধরে মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য যে কাজ করছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তা কুর্নিশযোগ্য।
প্রসঙ্গত, এনএইচআরসি একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা যা মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষার জন্য মানবাধিকার সুরক্ষা আইনের অধীনে ১৯৯৩ সালের ১২ অক্টোবর গঠিত হয়। তার পর ২৮ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করে চলছে।
তার পর মোদী সরকারের ভূমিকার কথা বলেন শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, ২০১৪ সালে দীর্ঘ সময়ের পর প্রথমবার কেন্দ্রে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে একটি সরকার গঠন হয়েছে। আর তার পর থেকে তারা দরিদ্র ও বঞ্চিত শ্রেণির জন্য নিরলস ভাবে কল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছে। তারও প্রশংসা করেন। অমিত শাহ যোগ করেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১০ কোটি পরিবারকে শৌচালয় দেওয়া হয়েছে। যার ফলে মহিলাদের সম্ভ্রম এবং মানবাধিকার রক্ষা হয়েছে।
মানবাধিকার কমিশনের প্রতিষ্ঠা দিবসে তিনি আরও বলেন, চার কোটি পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে, যা বৃদ্ধ ও শিশুদের জন্য সমানভাবে সহায়ক। ১৩ কোটি পরিবারকে রান্নার গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে। যা মহিলা সদস্য থেকে পরিবার অন্যান্যদের বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচাতে সহায়তা করেছে। অমিত শাহ দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সরকার দরিদ্রদের জন্য ২ কোটি বাড়ি তৈরি করেছে। এবং শীঘ্রই আরও পাঁচ কোটি বাড়ি তৈরি করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকার সাত কোটি মানুষকে সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আর্থিক সহায়তা দেয়। ওই অ্যাকাউন্টগুলি প্রথমবারের মতো খোলা হয়।
কেন্দ্র দেশের প্রতিটি পরিবারকে পানীয় জল সরবরাহের জন্য একটি প্রকল্প চালু করেছে। শীঘ্রই পাইপের মাধ্যমে দু’ কোটি পরিবারকে বিশুদ্ধ জল সরবরাহ করা হবে। যার ফলে তাদের মৌলিক মানবাধিকার রক্ষিত হবে বলে দাবি করেন তিনি।
এর পর কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রশংসা করে অমিত শাহ বলেন, এনএইচআরসি তার সফর শুরু থেকে ২০ লক্ষ মামলার নিষ্পত্তি করেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য বহু মানুষকে সবনিলিয়ে প্রায় ২০৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে, যা প্রশংসনীয়।
আরও পড়ুন: Congress: দলিত যুবককে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জিগনেশের, অস্বস্তিতে কংগ্রেস